জর্জ ফ্লয়েড হত্যা কাণ্ড এখনও ধিকি ধিকি করে আগুন জ্বালাচ্ছে প্রতিবাদীদের বুকে। আর খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বর্ণবিদ্বেষী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই ভারতীয়। এর মধ্যেই শিরোনামে চলে এসেছেন দেশের তারকা হাই জাম্পার তেজস্বীন শঙ্কর। কানসাস বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' স্লোগান তুলছেন জাতীয় পর্যায়ে রেকর্ড গড়া তেজস্বীন।
বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গত মাসের ২৩ তারিখে। 'আমেরিকান স্টুডেন্ট ফার্স্ট' নামক ছাত্র গ্রুপের সভাপতি জেডন ম্যাকনেইল টুইটারে লেখেন, "একটা গোটা মাস ড্রাগ মুক্ত কাটানোর জন্য জর্জ ফ্লয়েডকে ধন্যবাদ।" কৃষ্ণাঙ্গরা ড্রাগ সেবন করে থাকেন নিয়মিত, সেই ইঙ্গিতই করেছিলেন ম্যাকনেইল।
এমন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার পরেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। জরুরিকালীন জুম মিটিংয়ে বসে স্টুডেন্ট-এথলিট এডভাইসারি কমিটি। যে কমিটির চেয়ারম্যান আবার তেজস্বীন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সহ পড়ুয়াদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কোনোরকম টুর্নামেন্ট এ অংশ গ্রহন করা হবে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেজস্বীন জানালেন, "আমার প্রতি যদি কেউ এরকম বিদ্বেষ পোষন করে রাখে, তাহলে আমি কেন, তাদের হয়ে খেলব। কেউ একজন টুইটারে আমার বিরুদ্ধে লিখবে আবার পরেরদিনই আবার কোনো প্রতিযোগিতায় আমাকে সমর্থন করবে, এমনটা চাই না। ব্যক্তিগতভাবে যখন তারা আমাকে পছন্দ করবে না, তাহলে তাদের জন্য কেন আমি খেলব? আমার সতীর্থদের পাশে দাঁড়ানোর এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব।"
এদিকে, কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিদেশ থেকে আগত যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন কোর্সের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে। তারপরেই এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অন্য এক ভারতীয় ছাত্র বেদান্ত কুলকার্নি। যিনি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম এবং মাস কমিউনিকেশনে মেজরিং করছেন।
জর্জ ফ্লয়েডের বর্ণবিদ্বেষী ঘটনায় যে বিপ্লবের সূত্রপাত, সেই ঘটনাতেই আমেরিকায় প্রতিবাদের দুই মুখ- তেজস্বীন ও বেদান্ত।