ভারতীয় টেনিসের অন্যতম কিংবদন্তি আখতার আলি প্রয়াত হলেন। জাতীয় দলের ডেভিস কাপের প্রাক্তন কোচ একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন কয়েক মাস ধরেই। কিছুদিন আগেই প্রোস্টেটে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। তারপর এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ভারতের বর্তমান ডেভিস কাপ কোচ জিশান আলির বাবা আখতার আলির মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৩। শহরের নার্সিংহোমেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরো পড়ুন: কুলদীপের টুঁটি চিপে ধরলেন সিরাজ, ভারতীয় ড্রেসিংরুমের ঝামেলার ভিডিওয় বিতর্ক তুঙ্গে
আখতার আলির খেলার মূল বৈশিষ্ট্যই ছিল আক্রমনাত্মক সার্ভ এবং ভলি। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, কোচ হিসাবেও বহু প্রতিভা দেশকে উপহার দিয়েছেন। যেমন তাঁর পুত্র জিশান আলি, লিয়েন্ডার পেজ। তাঁর কোচিংয়ে প্রভাবিত হয়েছিলেন বিজয় অমৃতরাজ, রমেশ কৃষ্ণানরাও। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে দেশের হয়ে আটবার ডেভিড কাপে অংশ নিয়েছিলেন। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন এবং কোচ-দুই ভূমিকাই পালন করেছেন।
তাঁর পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দুয়েক আগেই একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেইসময়েই চিকিৎসকরা তাঁর বুকে একটি টিউমারের হদিশ পান। তখনই ধরা পড়ে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। তিনি স্মৃতিভ্রংশ এবং পারকিনসনস রোগে ভুগছিলেন। তাঁর ভেঙে পড়া শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে ক্যানসার চিকিৎসা চালাতে বারণ করেছিলেন চিকিৎসকরা।
সোমবারই তাঁর পুত্র জিশান দিল্লি চলে গিয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে। তবে পিতার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন।
তাঁর মৃত্যুতে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয় অমৃতরাজ টুইট করেছেন, "কোচ হিসেবে উনি দুর্দান্ত ছিলেন আমি যখন জুনিয়র কিংবা সিনিয়র দলের হয়ে খেলেছিলাম। সবসময় আমাদের সেরাটা বের করে আনতেন। দলকে রিল্যাক্স রাখতেন। ভারতীয় টেনিসের অমূল্য সম্পদ ছিলেন উনি। জিশান ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।"
প্রাক্তন ডেভিস কাপার সোমদেব দেববর্মণ আবার লিখেছেন, "১৯৯৯ সালে সাউথ ক্লাবে অনুশীলনে আখতার স্যারের সঙ্গে আলাপ। উনি সবসময় নিজের সেরাটা দিতেন। আমাদেরও তা করতে বলতেন।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন