গোলাপি বলে লেংথ ঠিকঠাক খুঁজে পাওয়াই দিন-রাতের টেস্টে বাংলাদেশ বধে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। এমনটাই মনে করছেন মহম্মদ শামি। বাংলাদেশকে প্রথম টেস্টে একাই বল হাতে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন বাংলার তারকা পেসার। ইডেনেও গোলাপি বলে তিনি আগুন ঝড়াবেন, এমনটাই আশা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
তার আগেই শামি সম্প্রচারকারী স্টার স্পোর্টস-এর একটি টক শো-য়ে বলে দিচ্ছেন, “ইডেনে বোলারকে পিচের দিকে নজর রাখতে হবে। পিচ কেমন ব্যবহার করছে, সেই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পিচ এমনটু মন্থর হয়ে পড়লেই আমি নিজেকে চেষ্টা চালিয়ে যাব। ব্যাটসম্যান সামান্যতম অস্বস্তিতে পড়লেই চড়াও হতে হবে। বলের লেংথ পরিবর্তন করতে হবে।”
আরও পড়ুন দিন-রাতের টেস্ট: প্রথম দিনে ইডেনে ক্রিকেট ছাড়া আর কী দেখতে পাবেন দর্শকরা?
ইন্দোরে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন শামি। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট পকেটে পুরেছিলেন তারকা পেসার। শেষ দু-বছর বোলিংয়ে অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছেন শামি। প্রথম টেস্টের পরেই আইসিসি-র ক্রমতালিকায় কেরিয়ারের সেরা র্যাঙ্কিং করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন দিন-রাতের টেস্ট: কেন বাংলাদেশি পেসাররা বল জলে চুবিয়ে খেলছেন?
শুধু শামিই নন। উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মাও পেস বিভাগে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন। প্রাক্তন ভারতীয় তারকা গৌতম গম্ভীর। ভারতের পেস ব্যাটারিতে রীতিমতো মুগ্ধ। তিনি জানাচ্ছেন, “বিশ্বের অন্যান্য দলগুলির কোথাও কোয়ালিটি পেসার রয়েছে, কোথাও আবার কোয়ালিটি স্পিনার রয়েছে। তবে এই ভারতীয় স্কোয়াডে দু-জন বিশ্বমানের স্পিনার রয়েছে। তিনজন সিমার রয়েছে। প্রথম একাদশে না থাকা জসপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমারও রয়েছেন।”
এরপরে গম্ভীরের সংযোজন, “তাই ভারতের পাঁচজন ঠিকঠাক সিমার রয়েছে। পাশাপাশি কুলদীপ যাদব রয়েছে। এই ৮ বোলার বিশ্বের যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপকে মাটিতে নামিয়ে আনতে সক্ষম। এই কারণেই শেষ দু-বছরে ভারত প্রতিপক্ষকে এত বেশিবার অলআউট করেছ।”
Read the full article in ENGLISH