ক্যালেন্ডার বলছে আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, সাল ২০১৯। টাইম মেশিনে চেপে যদি ন'বছর আগে ফিরে যাওয়া যেত, তাহলে শচীন তেন্ডুলকরের আপামর ফ্যানেরা বেছে নিতেন গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়াম। ২০১০ সালের এই দিনেই ওই মাঠ সাক্ষী ছিল শচীন সুনামির। বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্য়ান হিসেবে মাস্টারব্লাস্টার ওয়ান-ডে ক্রিকেটে দ্বি-শতরানের ইনিংস হাঁঁকিয়েছিলেন। এদিন সোশ্যাল মিডিয়া ফিরে দেখছে আধুনিক ডনের সেই 'অতিমানবিক' ইনিংসের কথা। 'দিস ডে দ্যাট ইয়ার' বলে টুইটেও চলছে মাস্টারের ব্যাট বন্দনা।
গোয়ালিয়রে সেদিন ভারত খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। টস জিতে জ্যাক কালিসের দলকে ফিল্ডিং করতে পাঠিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ওপেন করতে নেমেছিলেন ভারতের বিধ্বংসী জুটি শচীন ও বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। কিন্তু মাত্র ১১ বল খেলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান বীরু। ওয়েন পার্নেলের বলে ডেইল স্টেইনের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে যান তিনি। ২৫ রানে ভারত হারিয়েছিল তাদের প্রথম উইকেট। কিন্তু সেদিন ক্রিকেট ঈশ্বর শচীনকে বোলার নিধন যজ্ঞের জন্যই পাঠিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে আজ অন্ত্যেষ্টি ‘আচরেকর স্যারের’, কাঁধ দিলেন শচীন
#ThisDayThatYear In 2010 @sachin_rt Scored 200 Runs From 147 Balls With 25 Fours And 2 Sixes Against SA At Gwalior.@sachin_rt Is the First Cricketer to score Double century in ODI Cricket.
It was his 46th ODI Century And 93rd Overall Century. pic.twitter.com/16iSd63kyl— ????சர்கார் ஷா???? (@ShaMahadev) February 24, 2019
স্টেইন-পার্নেল-ভ্যান ডার মার সমৃদ্ধ প্রোটিয়া পেস অ্যাটাক একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন শচীন। ১৪৭ বল খেলে ২০০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ২২৬ মিনিট ক্রিজে থেকে শচীন মেরেছিলেন ২৫টি চার ও তিনটি ছয়। বলাই বাহুল্য সেদিন শচীন একাই লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাট হাতে ঝলসেছিলেন আরও তিন ভারতীয় ব্যাটসম্য়ান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দীনেশ কার্তিক করেছিলেন ৭৯ বলে ৮৫। দীনেশ ফিরে যাওয়ার পর ক্রিজে আসেন ইউসুফ পাঠান। ২৩ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। আর ক্যাপ্টেন কুল ধোনি শেষ পর্যন্ত শচীনের সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন। ৩৫ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ওভার পিছু ৮.০২-এর রান রেটে ভারত সেদিন নির্ধারিত ওভারে তিন উইকেটের বিনিময় ৪০১ রান তুলেছিল। তখন এই রান ওয়ান-ডে ক্রিকেটের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছিল। জবাবে কালিসের দল ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। শচীনের ব্যাটে ভারত জিতেছিল ১৫৩ রানে। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং ভরাডুবির মধ্যেও একজন দলের কুম্ভ রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। এবি ডিভিলিয়ার্স ১০১ বলে ১১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।