Thomas Muller: পেশাদার ফুটবল কেরিয়ারে মাত্র দুটো দলের হয়েই খেলেছেন তিনি। প্রথমটা জার্মানি (Germany) এবং পরেরটা অবশ্যই বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich)। গত বছরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন। আর এবার অবসর গ্রহণ করলেন বায়ার্ন মিউনিখ থেকেও। আশা করি, আপনাদের আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না যে কোন ফুটবলারের কথা এখানে বলা হচ্ছে! ঠিকই ধরেছেন। তিনি 'একমেবম অদ্বিতীয়ম' থমাস মুলার। তবে 'অবসর' শব্দটি বোধহয় এখানে একেবারে যুক্তিগ্রাহ্য হবে না। কারণ যেভাবে বায়ার্ন সংসারে মুলারকে অপমানিত হতে হয়েছে, সেটা বোধহয় একেবারে প্রাপ্য ছিল না।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গত ২৫ বছর ধরে বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের হয়ে খেলছেন মুলার। ২০০০ সালে বায়ার্ন মিউনিখের হাত ধরে শুরু হয়েছিল যাত্রা। তারপর থেকে কখনও আর অন্য কোনও ক্লাবের হয়ে খেলার কথা চিন্তাই করেননি। সেই মুলারকেই নাকি এতদিন পর বায়ার্ন মিউনিখের পক্ষ থেকে ক্লাব ছাড়ার কথা বলা হয়। এই কথায় চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেন বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড। শেষপর্যন্ত সরে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
মুলার বলেছেন, 'অন্যদিনের তুলনায় আজকের দিনটা আমার কাছে একেবারে আলাদা। বায়ার্ন মিউনিখে ২৫ বছরের সুদীর্ঘ যাত্রা অবশেষে সমাপ্ত হচ্ছে। এই সময়টা আমার কেরিয়ারের এক অবিশ্বাস্য অধ্যায় ছিল। এই যাত্রাপথে রয়েছে একাধিক দুর্ধর্ষ লড়াই এবং স্মরণীয় জয়ের স্মৃতি।'
বায়ার্ন মিউনিখে মুলারের কেরিয়ার
উল্লেখ্য, ২০০৮-০৯ মরশুমে প্রথমবার বায়ার্ন মিউনিখের সিনিয়র দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান মুলার। গত ১৭ মরশুমে তিনি ৭৪৩ ম্যাচে মোট ২৪৭ গোল করেছেন। পাশাপাশি বায়ার্নের হয়ে জিতেছে এক ডজন বুন্দেশলিগা খেতাব। হাফ ডজন জার্মানি কাপ, জোড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। মুলারের এই সিদ্ধান্তে বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবলের একটি অধ্যায় শেষ হতে চলেছে, তা বলা যেতেই পারে।