পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলার প্রয়োজনীয়তা প্রতিটা ছাত্র জীবনে দারুণভাবে দরকার। সাধারণত ক্রিকেট, কিংবা ফুটবল অথবা জিমন্যাস্টিক এইগুলিতেই মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে। কিন্তু ভলি বল ও যে ক্যারিয়ারের এক ভাল দিক হতে পারে সেটা অনেকের কাছেই অজানা। বিশেষ করে অনেকেই শুনে থাকবেন, ভলি বল খেললে নাকি সহজেই লম্বা হওয়া যায়। আর কলকাতা থান্ডারবল্টস ঠিক একই কথা বলছে।
শহরের বুকে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানেই কলকাতা থান্ডারবল্টস ছাত্রজীবনে খেলাধূলার অঙ্গীকার নিয়ে কথা বলে। দেশের পূর্বপ্রান্তে ভলিবল এর উন্নয়নের স্বার্থেই তারা কাজ করছে। ঝাড়খণ্ডের নানা প্রান্তে ভলিবল একাডেমী প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে ব্রহ্মপুত্র লীগের সমর্থক, অসম উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে নানাভাবে কাজ করার জন্য যথেষ্ট আগ্রহী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক বিজয়ী অস্বল রাই। তিনি বলেন, ২০১৯ এ ভারতীয় দলের সদস্য ছিলাম। এটাই আমার সবথেকে বড় অর্জন। জীবনের প্রতিটা বাঁধাকে সফল হতে দেখেছিলাম ভারতের হয়ে খেলাই ছিল আমার একমাত্র লক্ষ্য।
খেলাধুলায় কোনওদিন বেশি চিন্তাভাবনা চলে না এও জানালেন তিনি। দেশের হয়ে খেলাই আসল, শুধু ট্রফি সংগ্রহ করা নয়। আরও বৃহত্তর প্রতিভা যাতে আমরা খুঁজে পাই সেইদিকে এগোচ্ছি। এদিকে কলকাতা থান্ডারবল্টস এর টিম ডিরেক্টর সুমেধ পাটোদিয়া বলছেন, ভলিবলের প্রতি যাতে ভালবাসা বাড়ে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই কলকাতার দল সারাদেশ জুড়ে অবকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। শুধু ভলিবল কে হাইলাইট করা নয় বরং আরও নতুন প্রতিভাত খোঁজ। কলকাতা থান্ডারবল্টস ভারতের বুকে ভলিবলকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে এটাই কামনা।
থান্ডারবল্টস এর অনেকগুলি ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে। সাতটি শহরে তারা দুর্দান্ত ভাবে কাজ করছে। কলকাতায় হেরিটেজ স্কুলের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমেই নিজেদের ইচ্ছের কথা তারা ব্যক্ত করেছেন। পড়ুয়াদের পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলায়ও যেন এগিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে থাকে, এমনটাই জানিয়েছেন তারা।