গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল তামিলনাড়ু ক্রিকেট লিগে। তবে তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গঠন করা তদন্তকারী কমিটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কোনও সন্দেহজনক ঘটনা ঘটেনি। এর অর্থ, গড়াপেটার তদন্ত থেকে আপাতত রেহাই মিলল দক্ষিণী রাজ্যের টি২০ লিগের। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার সচিব রামাস্বামী প্রেস বিবৃতিতে বলেন, "টিএনপিএল নিয়ে গড়াপেটা তদন্তের রিপোর্ট আমাদের কাছে পৌঁছেছে। যেখানে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও উল্লেখযোগ্য ঘটনা নজরে আসেনি।"
প্রসঙ্গত, তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে কয়েকজন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার এবং বেশ কিছু কোচ বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের নজরে এসেছিলেন। তারপরেই তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে ১৬জনকে নিয়ে গঠন করা হয় তদন্তকারী কমিটি। সেই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, গড়াপেটা না হলেও বেশ কিছু বিষয়ে এখনও সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। এই কথা জানিয়েছেন ক্রিকেট সংস্থার সচিব রামাস্বামী।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়। আট দল পরস্পরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যাইহোক, তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগ গড়াপেটা-মুক্ত হলেও কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগ এখনও সন্দেহের নজরে। কর্ণাটক প্রিমিয়ার লিগে গড়াপেটার অভিযোগে বেঙ্গালুরু পুলিশের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করা হয়েছে বেলাগামি প্যান্থার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক আলি আশফাক থারাকে। অগাস্টে সমাপ্ত হওয়া কেপিএলে গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তারপরেই তদন্তে নেমেছিল কর্ণাটক পুলিশ। সেই তদন্তের পরেই ধৃত ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক।
একটি বেসরকারি ট্র্যাভেল এজেন্সি চালান আলি আশফাক। ২০১৭ সালে বেলাগাভি প্যান্থার্স দলের মালিকানা কেনেন তিনি। তবে তাকে সন্দেহভাজনদের তালিকায় রেখে কিছুদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আলির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, একাধিক দলের কোচ, প্লেয়ারদের।
Read the full article in ENGLISH