আন্তর্জাতিক টেনিশ ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠল এক ভারতীয়ের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই মোহালি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেওয়া এই বুকিকে শনাক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। তবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)-এর তরফে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান হয় যে এই ব্যক্তিকে খুঁজছিলেন তাঁরাও।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানায় যে কম জনপ্রিয় টেনিস তারকাদের নিয়ে ম্যাচ করাতেন রভিন্দর দান্ডিওয়াল। তাঁকে যারা সহায়তা করতেন তাঁরা সেই সব ম্যাচ গড়াপেটার জন্য বুকিদের সঙ্গে বেটিং চালাতেন। তবে নিজেকে ক্রিকেটার এবং খেলার দুনিয়ার অন্যতম মুখ হিসেবেই দেখাতেন।
রবিবার বিসিসিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (এসিইউ)-এর প্রধান অজিত সিং নিশ্চিত করেন যে এই রভিন্দর দান্ডিওয়ালকেই খুঁজছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, "রভিন্দর মোহালির ছেলে। কিন্তু বিশ্বের বহু জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। ক্রিকেট লিগ আয়োজকদের মধ্যে ওনার নাম রয়েছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি লিগ আয়োজন করত। এসিইউ খবর পেতে সেখানে যেতেই উনি পালিয়ে যান। এরপর বিসিসিআই-এ অন্তর্ভুক্ত সব প্লেয়ারদের সেই সমস্ত খেলায় অংশগ্রহণ না করার নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।"
এমনকী এই রভিন্দর দান্ডিওয়ালকে ম্যাচ গড়াপেটাকান্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে বিসিসিআই তাঁদের প্লেয়ারদেরও সতর্ক করে আসছে, এমনটাই জানান এক এসিইউ আধিকারিক। যদিও এখনও দান্ডিওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যায়নি। দেখা গিয়েছে নিজে নেপথ্যে থেকে এইসব কাজ চালাতেন তিনি। মেলবোর্নে রবীন্দ্রর হয়ে কাজ করা দুই ভারতীয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ব্রাজিলে এবং মিশরে টেনিস টুর্নামেন্ট আয়োজন করে তাঁরা। সেখান থেকে বেটিং-এর মাধ্যমে ৩ লক্ষ ২০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার আয় করেন। দুই অভিযুক্ত রাজেশ কুমার এবং হরসীমরত সিং জানান যে রভিন্দর দান্ডিওয়াল তাঁদের মাধ্যমে ওই সব ম্যাচের ফলাফল বদলে দেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে রভিন্দর দান্ডিওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন এবং মেসেজের কোনও উত্তর দেননি।
উল্লেখ্য, সোশাল মিডিয়াতে নিজেকে খেলার দুনিয়ার লোক হিসেবেই পরিচয় দিতেন রভিন্দর। নিজেকে 'জেনারেল সেক্রেটরি অফ ক্রিকেট কাউন্সিল ইন্ডিয়া', 'চেয়ারম্যান অফ ক্রিকেট প্রিমিয়ার লিগ', 'ম্যানেজিং ডিরেক্টর অফ আল্টিমেট স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট' হিসেবে দেখিয়েছেন সোশাল মিডিয়ায়। এমনকী বিসিসিআই-এর লোগোও ব্যবহার করতেন বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন