Advertisment

দিনের বাছাই খেলার খবর: স্টোকসের ধূমপান, অতিমারীতে মোহন ফুটবলারের সবজি-দ্যুতির গাড়ি বিক্রি

দিনের সেরা খবর এক ক্লিকে- সিগারেট কান্ড এবার বেন স্টোকসের অতিমারী এবার সমস্যায় ফেলল মোহনবাগানের দীপ বাগ থেকে দ্যুতি চাঁদকে। বিশ্বকাপ জিতলেই বিয়ে রশিদ খানের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ দুই ভারতীয়র।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বেন স্টোকসের বিশ্বকাপ কান্ড এবার জানা গেল। করোনায় মহা সঙ্কটে তারকা ফুটবলার দীপ বাগ থেকে দ্যুতি চাঁদ। বিয়ে করা নিয়ে বার্তা দিলেন ক্রিকেটার রশিদ খান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ।

Advertisment

স্টোকসের ধূমপান

publive-image বিশ্বকাপে বেন স্টোকস

ধূমপান করে বাজিমাত বিশ্বকাপ ফাইনালে। এমন ঘটনাই এবার প্রকাশ্যে জানা গেল। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে তুল্যমুল্য লড়াইয়ে হারিয়ে বাজিমাত করেছিল ইংল্যান্ড। আর ব্যাটে বলে ইংরেজদের হয়ে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন বেন স্টোকস। সেই স্টোকসের দুরন্ত পারফরমেন্স এর নেপথ্যে নাকি সিগারেট পান। এমনটাই জানা গেল অবশেষে।

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর পূর্ণ হল এদিনই। সেই উপলক্ষ্যেই একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। নিক হল্ট এবং স্টিভ জেমসের সেই বইয়ের নাম 'মর্গ্যানস মেন: দ্য ইনসাইড স্টোরি অফ ইংল্যান্ডস রাইজ ফ্রম ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ হিউমিলিয়েশন টু গ্লোরি' এ বিশ্বকাপ জয়ের ছোট ছোট ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। সেই বইয়ের কিছু অংশ আবার প্রকাশ পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেট ওয়েবসাইটে।

সেখানেই জানা গিয়েছে স্টোকসের কাণ্ড। "সুপার ওভারের আগে ২৭ হাজার ক্রিকেট সমর্থকে ঠাসা দর্শকের মধ্যে শান্ত নিরিবিলি জায়গা খুঁজে পাওয়াই ছিল মুশকিল। কারণ প্রত্যেক ক্রিকেটারকেই ক্যামেরার লেন্স ফলো করছিল লং রুম থেকে ড্রেসিংরুম- সবজায়গায়।"

তবে বেন স্টোকস এর মধ্যেই জায়গা পেয়ে গিয়েছিল। এরকমটাই জানিয়ে সেই বইয়ে লেখা হয়েছে, "বেন স্টোকস লর্ডসকে হাতের তালুর মত চেনে। ইওন মর্গ্যান যখন ড্রেসিংরুমে সবাইকে শান্ত করে ট্যাকটিক্স তৈরির চেষ্টা করছেন, সেই সময়েই স্টোকস সবার নজর এড়িয়ে বেরিয়ে পড়েন।"

কী করলেন স্টোকস সেটাই জানানো হয়েছে এরপরে "ও নোংরা, ঘামে জবজবে অবস্থায় ছিল। ভয়ঙ্কর চাপের মুখে স্টোকস ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট ব্যাট করে উঠেছে সবে। আর কীই বা করার রয়েছে। ইংল্যান্ডের ড্রেসিংরুমের পিছন দিয়ে এটেন্ডেন্স এর ছোট অফিস পেরিয়ে শাওয়ারের তলায় চলে যায়। তারপর একটা সিগারেট ধরিয়ে কিছুক্ষন নিজের মধ্যে সময় কাটায়।"

তারপর পুরোটাই ইতিহাস।

দ্যুতির গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপণ

publive-image দ্যুতি চাঁদ

পরের বছর অলিম্পিক। সেই অলিম্পিকের ট্রেনিং চালাতে এবার নিজের লাক্সারি গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন দ্যুতি চাঁদ। প্রথমে সোশাল মিডিয়ায় গাড়ি বিক্রির জন্য পোস্ট করেও তা আবার মুছেও দেন কিছুক্ষন পরে।

শনিবার নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে দ্যুতি চাঁদ গাড়ির ছবি পোস্ট করে ওড়িয়া ভাষায় লেখেন, "আমি আমার বিএমডব্লিউ গাড়ি বিক্রি করতে চাই। ইচ্ছুকরা মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করুন।"

করোনা সংক্রমণের কারণেই সমস্যায় পড়েছেন দ্যুতি চাঁদ। তিনি রেডিফ.কম-এ জানাচ্ছিলেন, "অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই এরকম পোস্ট করতে হয়েছে। এই বছরেই অলিম্পিক হলে, সবকিছু প্রস্তুতি নেওয়াই ছিল। তবে একবছর পিছিয়ে যাওয়ায় এখন নিজের খরচ চালাতেই হিমশিম খাচ্ছি।" তিনি আরো জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তার কাছে কোনো নগদ অর্থই নেই।

কেন এই পোস্ট মুছে ফেললেন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। দ্যুতি বলেছেন, কমেন্ট সেকশনে বেশ কিছু অশালীন মন্তব্য জমা পড়ছিল। তাই ম্যানেজারের পরামর্শে পোস্ট ডিলিট করে দি-ই।

এর আগে তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এই মুহূর্তে তাঁর কাছে কোনো স্পন্সর নেই। একমাত্র পুমার সঙ্গেই তিনি চুক্তিবদ্ধ। পরিবারের তিনিই একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। অর্থাভাবের কারণে এই সময় তিনি নিজের ডায়েট এবং ট্রেনিংও ঠিকমত চালাতে পারছেন না।

টাইমস নাও-কে দ্যুতি জানান, "অতিমারীর কারণে সমস্ত স্পোর্টস ইভেন্ট বাতিল হয়ে গিয়েছে। অলিম্পিকের জন্য কোনো স্পনসরই আর নেই। আমার হাতে জমানো সব টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। গত কয়েকমাসে একটাকাও উপার্জন করতে পারিনি। এই সময় নতুন করে কোনো স্পনসর আসবে না। তাই গাড়ি বিক্রি করা ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় নেই আমার কাছে।"

সবজি বিক্রি করছেন দীপ বাগ

publive-image মোহন তারকা এখন সবজি বিক্রেতা

করোনা ভাইরাসের কারণে প্রবল আর্থিক সমস্যা। সেই কারণেই মোহনবাগান ফুটবলার এবার সবজি বিক্রি করতে শুরু করে দিলেন। মোহনবাগান যুব দলের নামি ফুটবলার দীপ বাগকে দেখে এখন সকলের চক্ষু ছানাবড়া।

গোটা দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রত্যেকদিনই খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। গোটা দেশে লকডাউন জারি ছিল প্রায় তিনমাস। এখনও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। মোহনবাগানের জার্সিতে খেলা দীপ বাগও এই সমস্যায় জর্জরিত। হুগলি জেলার কোন্নগরের বাসিন্দা দীপ পরিবারের খরচ টানতে না পেরে তাই রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।

দুর্গাপুর মোহনবাগান একাডেমিতে অনুশীলন করা দীপ গত বছর চুটিয়ে ক্লাবের জার্সিতে খেলেছেন। স্টপার পজিশনে খেলতেন। একাডেমিতে থাকাকালীন দীপ ১০০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড পেতেন। সেই টাকা আর বাবার উপার্জনের টাকায় সংসারের খরচ চলত। তবে এখন খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন এই ফুটবলার। অতিমারীর প্রকোপ বাড়তেই খেলা ছেড়ে বাড়িতে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তারপর ৬৮ বছরের বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের তাগিদেই এরপরে রাস্তায় সবজি বিক্রি করতে নেমে পড়েন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দীপ বাগ জানালেন, "লকডাউনের সময় বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই রিকশা টানতে পারছেন না। সেই কারণেই এই কাজ বেছে নি-ই। এখন অন্তত পরিবারের মুখে দুবেলা খাবার জোটে।" ফুটবলারের দুর্দশা দেখে ফ্যান ক্লাব এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই দীপ বাগকে সাহায্যের বার্তা দিয়ে ফান্ড তোলার কাজ শুরু করে সেই ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা। দিল্লি মেরিনার্সের তরফে বলা হয়েছে, "আমরা ফান্ড তৈরি করেছি। পাশাপাশি রঞ্জিত বাজাজের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ট্রায়ালের কোনো উপায় নেই। তবে স্টাইপেন্ডের বন্দোবস্ত করার প্ৰতিশ্রুতি দিয়েছেন। লকডাউন উঠলেই ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হবে যাতে খেলা থেকে দীপ হারিয়ে না যায়।"

দীপ যদিও বলেছেন, খেলা ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই। কারণ তিনি বিকালে অনুশীলন জারি রেখেছেন। "একবার এই সময় কেটে যাক, তারপরে পেশাদারিভাবে আবার মাঠে ফেরার চেষ্টা করব। আশা করি আইলিগে খেলতে পারব। কারণ ফুটবলই আমার কাছে একমাত্র স্বপ্ন।" বলছেন তিনি।

রশিদের বিয়ে

publive-image রশিদ খান

বিশ্বকাপ না জিতে বিয়ে করার ইচ্ছাই নেই। এমনটাই জানিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তাঁর দেশ বিশ্বকাপ জিতলে তবেই বিয়ের কথা ভাববেন তিনি। আজাদী রেডিওয় এক সাক্ষাৎকারে আফগান তারকা জানিয়েছেন, "ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতলেই তিনি বাগদান পর্ব সারবেন এবং বিয়ে করবেন।"

বিশ্বক্রিকেটে আফগানিস্তানের সবথেকে পরিচিত মুখ রশিদ খান। কেরিয়ারের শুরুতেই একাধিক রেকর্ডের মালিক তিনি। বর্তমানে টি২০ ক্রমতালিকায় এক নম্বর বোলার তিনি। মাত্র ২১ বছর বয়সেই কোনো টেস্ট দলের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক হওয়ার বিরল সম্মান পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। চট্টগ্রামে গত বছরই আফগানিস্তান বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়। রশিদ সেই ম্যাচে একই বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়েছিলেন। তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ৪৯/৬, যা তাঁর কেরিয়ারের সেরা। প্রথমবার জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েই দলকে ইতিহাসিক জয় উপহার দিয়েছিলেন। একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতে ৫১ রান করার পরে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে বাংলাদেশকে সেই ম্যাচে হারায় আফগান ক্রিকেটাররা।

এই জয়ের সঙ্গেই ইতিহাসে ঢুকে পড়েছিলেন রশিদ খান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ক্যাপ্টেন হিসাবে অভিষেক-নেতৃত্বেই ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। মার্চ মাসের পর থেকেই ক্রিকেট থেকে দূরে রশিদ। শেষ খেলেছিলেন ভারতের মাটিতে আয়োজিত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। সেই সিরিজ শেষ করার পরেই ফের একবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে আইপিএলে খেলতে আসার কথা ছিল তাঁর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ

publive-image

জর্জ ফ্লয়েড হত্যা কাণ্ড এখনও ধিকি ধিকি করে আগুন জ্বালাচ্ছে প্রতিবাদীদের বুকে। আর খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বর্ণবিদ্বেষী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই ভারতীয়। এর মধ্যেই শিরোনামে চলে এসেছেন দেশের তারকা হাই জাম্পার তেজস্বীন শঙ্কর। কানসাস বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' স্লোগান তুলছেন জাতীয় পর্যায়ে রেকর্ড গড়া তেজস্বীন।

বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গত মাসের ২৩ তারিখে। 'আমেরিকান স্টুডেন্ট ফার্স্ট' নামক ছাত্র গ্রুপের সভাপতি জেডন ম্যাকনেইল টুইটারে লেখেন, "একটা গোটা মাস ড্রাগ মুক্ত কাটানোর জন্য জর্জ ফ্লয়েডকে ধন্যবাদ।" কৃষ্ণাঙ্গরা ড্রাগ সেবন করে থাকেন নিয়মিত, সেই ইঙ্গিতই করেছিলেন ম্যাকনেইল।

এমন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার পরেই প্রতিবাদে ফেটে পড়েন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। জরুরিকালীন জুম মিটিংয়ে বসে স্টুডেন্ট-এথলিট এডভাইসারি কমিটি। যে কমিটির চেয়ারম্যান আবার তেজস্বীন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সহ পড়ুয়াদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কোনোরকম টুর্নামেন্ট এ অংশ গ্রহন করা হবে না।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেজস্বীন জানালেন, "আমার প্রতি যদি কেউ এরকম বিদ্বেষ পোষন করে রাখে, তাহলে আমি কেন, তাদের হয়ে খেলব। কেউ একজন টুইটারে আমার বিরুদ্ধে লিখবে আবার পরেরদিনই আবার কোনো প্রতিযোগিতায় আমাকে সমর্থন করবে, এমনটা চাই না। ব্যক্তিগতভাবে যখন তারা আমাকে পছন্দ করবে না, তাহলে তাদের জন্য কেন আমি খেলব? আমার সতীর্থদের পাশে দাঁড়ানোর এটা আমার নৈতিক দায়িত্ব।"

এদিকে, কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিদেশ থেকে আগত যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন কোর্সের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে। তারপরেই এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অন্য এক ভারতীয় ছাত্র বেদান্ত কুলকার্নি। যিনি ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম এবং মাস কমিউনিকেশনে মেজরিং করছেন।

জর্জ ফ্লয়েডের বর্ণবিদ্বেষী ঘটনায় যে বিপ্লবের সূত্রপাত, সেই ঘটনাতেই আমেরিকায় প্রতিবাদের দুই মুখ- তেজস্বীন ও বেদান্ত।

Ben Stokes Rashid Khan Mohun Bagan IPL USA corona virus
Advertisment