ভারতীয় বোর্ডেও এবার চীন বিরোধী বার্তা। মাঠে ফিরছেন শ্রীসন্থ। এএফসির অনুর্দ্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে কড়া গ্রুপে ইন্ডিয়া। শামি জানালেন, তাঁরাই দেশের ইতিহাসে সেরা। ত্রাণ দিল ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব।
বোর্ডে ভবিষ্যতে নেই চিনা স্পনসর:
গোটা দেশে চিন বিরোধী হওয়া প্রবল। সীমান্তে ২০জন ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পর আওয়াজ উঠেছে, চিনা দ্রব্য বয়কটের। এর মধ্যেই বড়সড় ঘোষণা বিসিসিআই থেকে। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, প্রয়োজন হলে স্পন্সরশিপ ছাঁটতে দুবার ভাববে না তারা। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হল, ভবিষ্যতে খেলার কোনো পরিকাঠামো, স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজে চিনা কোম্পানিকে বরাত দেওয়া হবে না। বর্তমানে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো আইপিএলের প্রধান স্পনসর। বিসিসিআইয়ের সচিব অরুণ ধুমল জানান, বর্তমানে চুক্তি অক্ষত থাকছে, তবে সেই চুক্তি ছিন্ন করতে দু-বার ভাববে না বোর্ড। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে অরুণ ধুমল জানালেন, "ভবিষ্যতে ক্রিকেট পরিকাঠামো তৈরির দায়িত্ব কোনো চীনের কোম্পানিকে দেওয়া হবে না।" পাশাপাশি তিনি অবশ্য জানিয়ে রাখছেন, "আমাদের প্ৰথমে দুটো জিনিসের তফাৎ বুঝতে হবে- চিনা কোম্পানিগুলোকে সমর্থন করা এবং চিনকে সমর্থন করা। স্পনসরের ক্ষেত্রে আমরা একটা চিনা কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিচ্ছি, টাকা দিচ্ছি না।" ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ২১৯৯ কোটি টাকার বিনিময়ে আইপিএলের সঙ্গে চুক্তি করে ভিভো। ধুমল বলছিলেন, "এই টাকার ৪২ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারকে কর বাবদ দেওয়া হয়। এভাবে কিন্তু দেশকেই সমর্থন জানানো হচ্ছে। এদেশের টাকা এখানেই থাকছে। ক্রিকেটের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকেও সাহায্য করা হচ্ছে। চিনের কোম্পানীগুলো এখানে ফোন বিক্রি করে সেই অর্থ চিনে নিয়ে চলে যাচ্ছে। যদি সেই টাকা আমরা স্পনসর বাবদ না নিই, তাহলে সব টাকাই দেশ থেকে বেরিয়ে যাবে।"
শ্রীসন্থের প্রত্যাবর্তন
সাত বছরের নির্বাসন খতম হতে চলেছে। তাই এবার ক্রিকেট মাঠে ফেরার প্রস্তুতি চালু করে দিলেন শান্তাকুমারন শ্রীসন্থ। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং করার দায়ে শ্রীসন্থ এবং রাজস্থান রয়্যালসের আরো দুই টিম মেটকে আজীবন নির্বাসনে পাঠায় বিসিসিআই। গত বছর সেই নির্বাসনের মেয়াদ কমে দাঁড়ায় সাত বছরে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সেই নির্বাসন পর্ব শেষ হবে।
কেরালা রঞ্জি দলে শ্রীসন্থকে দেখা যেতে পারে আসন্ন মরশুমে। সংবাদসংস্থাকে শ্রীসন্থ জানিয়েছেন, "সরকারি নির্দেশ আসবে সেই সেপ্টেম্বরে। আপাতত ট্রেনিং শুরু করেছি। কেরালা ক্রিকেট সংস্থার সচিব থেকে ডিরেক্টর প্রত্যেকেই আমার পাশে রয়েছে। নির্বাচক এবং ক্রিকেটাররাও আমাকে চান। মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। এটা খুব স্পষ্ট যে আমি টিমে থাকবোই। সরকারি ঘোষণার পর নির্দেশ মেনে কাজ করব।" ৩৭ বছরের তারকা পেসার জানাচ্ছেন, শেষ বার যখন মাঠে খেলেছিলেন, সেই সময় থেকে এখনকার ক্রিকেট অনেক বদলে গিয়েছে।
এএফসি যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত
এএফসি অনুর্দ্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে কঠিন গ্রুপে পড়ল ভারত। বৃহস্পতিবার এএফসির তরফে যে ড্র ঘোষণা করা হল, তাতে দেখা গেল, ভারতের সঙ্গেই গ্রুপ সি-তে রয়েছে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, উজবেকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া। সেপ্টেম্বরের ১৬ থেকে অক্টোবরের ৩ তারিখ পর্যন্ত এএফসি এশিয়া কাপের আসর বসছে বাহরিনে। বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে এএফসি-র প্রধান কার্যালয়ে এই ড্র চূড়ান্ত হল। এই টুর্নামেন্টের চার সেমিফাইনালিস্ট দল ২০২১ এ পেরুতে আয়োজিত অনুর্দ্ধ ১৭ যুব বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
এর আগে গ্রুপ বি-তে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ভারতীয় ফুটবল দল। তাসখনতে ভারতের গ্রুপে ছিল আয়োজক উজবেকিস্তান, বাহরিন এবং তুর্কিমেনিস্তান। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ভারতীয় যুব ফুটবলাররা। ১১টি গোল করার পাশাপাশি মাত্র একটা গোল হজম করে ইন্ডিয়া সেবার। এই নিয়ে টানা তিন নম্বর বার মূলপর্বে খেলবে ভারত। সবমিলিয়ে মূলপর্বে খেলার সংখ্যা ৯বার।
শামির দাবি
বোলিং ইউনিটের হিসাবে বর্তমান বোলিং বিভাগই ভারতের সর্বকালের সেরা। এমনটাই জানিয়ে দিলেন সেই স্কোয়াডেরই অন্যতম সদস্য মহম্মদ শামি। জানিয়ে দিলেন, দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে বর্তমান পেস বিভাগই সর্বকালের সেরা।
শেষ দু বছরে ভারতের বোলিং বিভাগের চার অস্ত্র- জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা এবং উমেশ যাদব ধারাবাহিকভাবে দেশ ও বিদেশের মাটিতে পারফর্ম করে চলেছে। রিজার্ভ বেঞ্চে থাকেন ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পাণ্ডিয়ার মত পেসাররা। এমন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেই মহম্মদ শামি দীপ দাশগুপ্তকে ইএসপিএন এর চ্যাট শো এ বলে দিয়েছেন, "বিশ্বক্রিকেটও স্বীকার করে নিয়েছে এর আগে একসঙ্গে পাঁচজন প্রকৃত ফাস্ট বোলার ভারতের জার্সিতে খেলেনি। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন কাণ্ড আগে ঘটেনি। আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চে যে পেসার বসে থাকে সে-ও ১৪৫ কিমি গতিতে বল করতে পারে।"
শামি বলছিলেন, "এটাই সেরা বোলিং আক্রমণ। কারণ আমাদের মধ্যে কোনো ঈর্ষা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। একে অন্যের সাফল্য উপভোগ করি আমরা। আমরা একটা পরিবারের মত থাকি।"
ত্রাণ ইবিআরপি
১২ই জুন, ২০২০ তে দ্বিতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ পরিচালনা করল ইবিআরপি। সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমা ব্লকের শিবনগর গ্রামে সামাজিক দায়বদ্ধতার নতুন নিদর্শন রেখে যায় তারা।
কী কী করা হল। ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়
- ২৫০০ কেজি ত্রাণ সামগ্রীর বিতরণ, যার মধ্যে রয়েছে খাদ্যদ্রব্য, ত্রিপল, ওষুধ ইত্যাদি।
- ১০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ।
- স্থানীয় জলাশয়গুলির সংস্কারে সহায়তার জন্য ব্লিচিং পাউডার, পটাশ এবং চুন স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া।
- প্রায় ২০০ গ্রামবাসীর মধ্যে সারাদিনব্যাপী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইখাতা, পেন সহ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ। গোটা ত্রাণ বিতরণী পর্বে ইবিআরপির তরফ থেকে শিবনগরের পুলিশ কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।