সৌরভ, জয় শাহ দের কুলিং অফ পিরিয়ডের শুনানি আজ। ফুটবল লিগ নিয়ে ঘোষণা ফেডারেশনের। কুম্বলে এবার মুখ খুললেন বিতর্কিত ঘটনা নিয়ে।
কুম্বলে-কোহলি এপিসোড
জাতীয় দলে কোচিংয়ের ভূমিকা ভালোই উপভোগ করছিলেন। তবে শেষটা আরো ভালো হতে পারত। এমনটাই জানালেন অনিল কুম্বলে। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির সঙ্গে মতপার্থক্যে জড়িয়ে কুম্বলে ২০১৭ সালে ভারতের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। দায়িত্বে আসার ঠিক এক বছরের মাথায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে হেরে কোহলির সঙ্গে মনোমালিন্য বাড়ে কিংবদন্তি স্পিনারের। তারপরেই কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান তিনি।
অতীতের সেই ঘটনাই এবার কুম্বলে তুলে আনলেন ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে পমি এমবাঙ্গার সঙ্গে। তিনি জানিয়ে দিলেন, "আমি খুব খুশি ছিলাম যে আমি দায়িত্ব পেয়েছিলাম। প্রথম এক বছর টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো দারুন ছিল। ফের জাতীয় দলে যুক্ত হতে পারা, দুরন্ত সমস্ত পারফর্মারদের সঙ্গে থাকার সুযোগ হওয়া- দারুণ ছিল সময়টা। সেই একবছরে আমরা দারুণ খেলেছিলাম। আমিও সেই সময় সামান্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছিলাম, তাতে বেশ খুশি ছিলাম। তবে এখন কোনো অনুশোচনা নেই। শেষটা হয়ত আরো ভাল হতে পারত। তবে আমি খুশি।"
মুখে অনুশোচনার বার্তা নিয়ে তবু কুম্বলে বলে যান, "কোচ হিসেবে সবাই বুঝে যায়, কখন সরে দাঁড়াতে হয়। কোচকেই আসলে সরে যেতে হয়। আমি সেই এক বছরে সামান্য হলেও অবদান রাখতে পারায় খুশি।"
২০১৭ সালে টিম ইন্ডিয়ার কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পর কুম্বলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের কোচ হন। পাশাপাশি, আরসিবি এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এর মেন্টরের ভূমিকাও পালন করেছেন কুম্বলে।
কুলিং অফ শুনানি
কুলিং অফ পিরিয়ডে না গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সহ বোর্ডের একাধিক আধিকারিক যাতে পরিচালন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন, সেই নিয়ে আগেই সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল বিসিসিআই। সেই আবেদনের শুনানি আজ। লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, টানা ছয় বছর প্রশাসক হিসাবে কাটানোর পর তিন বছরের জন্য পরেই কুলিং অফে যেতে হবে সবাইকেই। সেই হিসেবে, জয় শাহের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। সৌরভের সরে যাওয়ার কথা এই জুলাই মাসের শেষেই।
বোর্ডের প্রশাসক হিসাবে ২০১৯ এর অক্টোবরে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সৌরভ ও জয় শাহ দুজনেই পাঁচ বছর সিএবি ও গুজরাট ক্রিকেট সংস্থায় পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পন্ন করে ফেলেছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসেই বোর্ডের নিয়ম নীতি বদলাতে চেয়ে বিসিসিআই সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিল। বোর্ডের ৮৮ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ৩৮ জন সদস্যই সংশোধনীতে মৌখিক সম্মতি জানিয়েছিল।
আজ ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, জাস্টিস নাগেশ্বেরা রাও দের নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চে শুনানি শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই এপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে মেয়াদ উত্তীর্ণ জয় শাহের যোগদান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন সিএজি নমিনি অলকা রেহানি ভরদ্বাজ।
ফেডারেশনের ঘোষণা
টি২০ বিশ্বকাপের জট ছাড়িয়ে আইপিএল আয়োজন এই বছরেই হতে পারে। অন্যদিকে, দেশের ফুটবল ফেডারেশন আগামী মরশুমের আইএসএল কেরালা অথবা গোয়ায় আয়োজন করার কথা ভাবছে। দর্শকশূন্য ক্লোজড ডোর স্টেডিয়ামে। পাশাপাশি, আইলিগ এবার আয়োজিত হতে পারে কলকাতাতে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সংস্থার কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন পেলেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মঙ্গলবারই এক ভিডিও কনফারেন্সে ফেডারেশনের লিগ কমিটি এমনটা জানিয়ে দিল।
ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত এক বিবৃতিতে জানান, "প্রত্যেকের সহযোগিতা নিয়ে আমরা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করে খেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। আমাদের ফুটবলার সহ স্টেকহোল্ডার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে।"
অক্টোবর মাসের ২০ তারিখে ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হচ্ছে। আইলিগের জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন না করে তা পিছিয়ে দেওয়া হোক। এতে টিমগুলি আরো ভালো প্রস্তুতি নিয়ে নামতে পারবে। একই ভাবে আইলিগের দ্বিতীয় ডিভিশনও সাময়িক ভাবে পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অতিমারীর অবস্থার জন্য ফেডারেশন এশিয়ান ফুটবল কাউন্সিলকে কিছু ক্লাবকে লাইসেন্সিং শর্তে ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফেডারেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফুটসল লিগ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা ছিল ফুটসল লিগের।