পুত্র সন্তান লাভ হার্দিকের। লজ্জার হারে বিদায় আনন্দের। বাগানকে কোচিং করাতে চান ব্যারেটো। আইপিএল নিয়ে এসওপি বোর্ডের। ধোনিকেই সেরা বাছলেন আফ্রিদি।
হার্দিক বাবা হলেন
বাবা হলেন হার্দিক পান্ডিয়া। আগেই হার্দিক জানিয়ে দিয়েছিলেন স্ত্রী নাতাশা অন্তঃসত্ত্বা। তারপর অপেক্ষায় ছিলেন হার্দিক-নাতাশা। ক্রিকেটার-নায়িকার আশা পূর্ন করেই বৃহস্পতিবারই পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন নাতাশা।
হার্দিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এদিনই জানিয়ে দিলেন, গর্বিত পিতা হওয়ার অনুভব। গতকালই হার্দিক ইনস্টাগ্রামে দুজনের সেলফি ছবির সঙ্গে একটি জিফ ফাইলের শেয়ার করেছিলেন, যেখানে লেখা, "কামিং সুন"। তারপরেই হার্দিক এদিন ইনস্টাগ্রামে খুদের ছবি শেয়ার করে লিখলেন, পুত্র সন্তানের পিতা হয়েছেন তিনি।
জানুয়ারি মাসে একগুচ্ছ ছবি, ভিডিও শেয়ার করে হার্দিক-নাতাশা নিজেদের এনগেজমেন্টের কথা সর্বসমক্ষে স্বীকার করে নিয়েছিলেন। সেই সময় আবেগঘন পোস্টে হার্দিকের ক্যাপশন ছিল, "নাতাশা আর আমার যাত্রাটা বেশ ভাল ছিল। এটা আরো চিত্তাকর্ষক হতে চলেছে কারণ জীবনের নতুন পর্বে আমরা প্রবেশ করছি। সবাইয়ের আশীর্বাদ ও ভালবাসা কাম্য।"
তারপর লকডাউনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন মিয়াঁ-বিবি। জুন মাসে হার্দিক জানান স্ত্রী গর্ভবতী। আর ঠিক এক মাসের মধ্যেই এল সুখবর।
বিস্তারিত পড়ুন
বাবা হলেন হার্দিক, লক্ষীবারেই দিলেন সুখবর
আফ্রিদি আর ধোনি
ধোনি না পন্টিং- কে ভালো অধিনায়ক! শাহিদ আফ্রিদি এমন প্রশ্নের জবাবে সরাসরি বেছে নিচ্ছেন ধোনিকেই। ধোনি এবং পন্টিং- ক্রিকেটের ইতিহাসে সফলতম দুই অধিনায়ক। দুজনেই দু-বার করে বিশ্বকাপ জিতেছেন। ধোনি যেমন ২০১১-এ বিশ্বকাপ জেতার চার বছর আগে ২০০৭ এ শুরুর টি২০ বিশ্বকাপই জিতেছিলেন, তেমনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ও তাঁর নামের পাশে। বিশ্বের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে সমস্ত আইসিসি ট্রফি জিতেছেন ধোনি।
ধোনির মত পন্টিংও জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। ২০০৩ ও ২০০৭-এ পরপর পন্টিংয়ের নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় অজিরা। চলতি শতকের শুরুতে ক্রিকেটে অজি দাপটের নেপথ্য নায়কও তিনি।
এই দুজনের মধ্যে অবশ্য আফ্রিদি নেতা হিসাবে এগিয়ে রাখছেন ধোনিকেই। অপেক্ষাকৃত নতুন দল নিয়ে সাফল্য পাওয়ার জন্য। টুইটারে সমর্থকদের সঙ্গে গল্প করার সময় আফ্রিদি জানান, "আমি পন্টিংয়ের থেকে ধোনিকেই এগিয়ে রাখব, তরুণদের নিয়ে ভালো দল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।"
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর কিছুদিন আগেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। তিনি চ্যাট সেশনে আরো জানালেন, ভিভ রিচার্ডস তাঁর ফেভারিট ব্যাটসম্যান। এবং তাঁর সর্বকালের সেরা প্রিয় স্পিনার আবদুল কাদির। বর্তমানে বিশ্বের সেরা বোলার কে, আফ্রিদি সাফ জানালেন, প্যাট কামিন্স।
ব্যারেটোর স্বপ্ন
জীবনের স্বপ্ন একবারের জন্য হলেও মোহনবাগানকে কোচিং করানো। বাগান-দিবসে এমনটাই জানালেন সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলে জোসে রামিরেজ ব্যারেটো।
করোনা অতিমারীর কারণে মোহনবাগান দিবসে ভার্চুয়ালি এক চ্যাট শো-এর আয়োজন করা হয়েছিল, তারকা ফুটবলারদের নিয়ে। সেখানেই ব্যারেটো জানান, "আমরা প্রত্যেকেই স্বপ্ন নিয়ে থাকি। আমার স্বপ্ন হল, মোহনবাগানের কোচ হওয়া। এটা একটা অপূর্ণ স্বপ্নের মতোই। কোচ হলে ফের সমর্থকদের সঙ্গে একত্রিত হতে পারব।"
এখানেই না থেমে বাগানের সবুজ তোতা বলেছেন, "মোহনবাগানের হয়ে যে কাজই করি, তা গর্বের সঙ্গেই করে থাকি। ওদের হয়ে অনেক দিন খেলেছি। সমর্থক, কর্তা সবাই আমার কাছে পরিবারের মতই হয়ে গিয়েছে।"
চলতি মরশুমেই এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে মোহনবাগান। সংযুক্ত হয়েই আইএসএলে খেলবে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। এই পার্টনারশিপকে স্বাগতই জানাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ব্যারেটো সেই চ্যাট শো এ বলেছেন, "এটা দারুণ হয়েছে। অনেকটা যেন দুটো ফুটবল আত্মা একত্রিত হওয়ার মত। বাংলার ফুটবলে এই পার্টনারশিপ ছাপ ফেলে যাবে।"
বর্তমানে রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কোচিংয়ে যুক্ত বাগানের জার্সিতে জাতীয় লিগে ৯৪ গোল করা তারকা। মোহনবাগানের জার্সিতে দু-বার আলাদা আলাদাভাবে খেলেছেন এক দশকেরও বেশি। ১৯৯৯-২০০০ এবং ২০০১-০২ জাতীয় লিগে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
বিস্তারিত পড়ুন
জীবনের একমাত্র স্বপ্ন ফাঁস ব্যারেটোর, বাগান দিবসেই খোলামেলা সবুজ তোতা
আনন্দের হার
হারের ধাক্কা আর কাটাতে পারলেন না বিশ্বনাথন আনন্দ। লিজেন্ডস চেজ অনলাইনে নবম রাউন্ডেও হারলেন ভারতের কিংবদন্তি দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ। ভ্যাসেল ইভানচুকের কাছে শেষ রাউন্ডে হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন তিনি।
দেড় লাখ ডলার পুরস্কারমূল্যের টুর্নামেন্টে এই নিয়ে নয়টার মধ্যে আটটা রাউন্ডেই হারলেন আনন্দ। ৫০ বছরের ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার সর্বশেষ স্থানে থেকে ফিনিশ করলেন। একমাত্র জয় পেয়ে ছিলেন বরিস গেলফাঁদের বিরুদ্ধে। এদিকে, টানা প্রাথমিক পর্বে টানা নয় গেম জিতে শেষ করলেন ম্যাগনাস কার্লসেন। তিনি শেষ গেমে ৩-১ ব্যবধানে হারালেন ভ্লাদিমির ক্রামনিককে।
এদিন চার গেমই ড্র হয়। তবে টাইব্রেকারের শেষে শেষ হাসি হাসেন আনন্দের ইউক্রেনিয়ান প্রতিপক্ষ।
ম্যাগনাস কার্লসেন চেজ টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলছেন ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার। ম্যাগনাস কার্লসেন চেজ ট্যুর টুর্নামেন্ট এ কার্লসেন, লিরেন, নেপোমনিয়াচি এবং গিরি চার তারকা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪০-৫০ বছরের কিংবদন্তি দাবাড়ুদের বিরুদ্ধে। এই টুর্নামেন্টে এবারই প্রথমবার অংশ নিচ্ছেন আনন্দ।
আরও পড়ুন
সাপের সাঁতার কাটাতেই নাকি প্রমাণ বিষধর নাকি বিষহীন! কতটা সত্যি জানুন
আইপিএল নির্দেশিকা
টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে কোনোভাবেই দর্শক প্রবেশাধিকার থাকবে না। কমেন্ট্রি বক্সে ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে ছয় ফুটের দূরত্ব রাখতেই হবে। ড্রেসিংরুমে কোনোভাবেই একসঙ্গে ১৫ জনের বেশি ক্রিকেটার থাকতে পারবেন না। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে হবে। আর দু সপ্তাহের মধ্যে চারবার কোভিড পরীক্ষা করতে হবে ক্রিকেটারদের।
আইপিএলের আগে দেশের ক্রিকেট বোর্ড যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করে পাঠাতে চলেছে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছে। সেখানে এমনই নিয়ম বিধি লেখা থাকবে। এমনটাই জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও সবুজ সংকেত আসেনি। তবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্রিকেট বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে যে বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে আবেদন পেয়েই তারা সমস্ত ব্যবস্থাপনা তৈরি করে রাখছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বোর্ডের এক কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, "শুধু ক্রিকেটাররাই নন, জৈব সুরক্ষা বলয়ে একবার প্রবেশ করার পর ক্রিকেটারদের বান্ধবী, পরিবার, বোর্ড কর্তা, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক- প্রত্যেককেই এই নিয়ম মানতে হবে। কেউই হঠাৎ এই প্রটোকল ভেঙে পরে আবার যোগ দিতে পারবেন না। ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী, পরিবার থাকতে পারবে কিনা, এই সিদ্ধান্তের ভার ফ্র্যাঞ্চাইজিদেরই নিতে হবে। তবে বায়ো বাবলের প্রোটোকল সবাইকেই এমনকি বাস ড্রাইভারদেরও মানতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে।"
এরপর সেই কর্তা আরো জানান, "পরের সপ্তাহে বোর্ডের বৈঠক হওয়ার পর প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এই এসওপি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওদের যদি কোনো ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেই বিষয়ে আলোচনা করা যাবে।"
এসওপি-তে আরও বলে দেওয়া হবে, দু সপ্তাহের মধ্যে ক্রিকেটারদের চারবার কোভিড টেস্ট করা হবে। ইউএই-তে যাওয়ার আগে দেশেই হবে দুবার। এরপরে আমিরশাহিতে কোয়ারেনটাইনে থাকার সময় আরো দুবার। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা একবার হোটেল ঠিক করে নেয়ার পর আর তা মাঝপথে বদলাতে পারবেন না।
বোর্ডের তরফে ইতিমধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বলে দেওয়া হয়েছে আমিরশাহির সমস্ত ব্যবস্থাপনা তৈরি করে রাখতে। হোটেল বুকিংয়ের সময় যাতে ডিসকাউন্ট পায় সবাই তা নিশ্চিত করা হবে বোর্ডের পক্ষ থেকে। খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা যে ব্যক্তিদের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ একমাত্র তাঁদেরই হোটেল ও ড্রেসিংরুমে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।