Advertisment

প্রয়াত ডাকওয়ার্থ লুইসের স্রষ্টা, ক্রিকেটমহলে শোকের ছায়া

বোল্টনে জন্মগ্রহণ করা এই পরিসংখ্যানবিদ অঙ্ক ও পরিসংখ্যান নিয়ে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বিভাগে উত্তীর্ণ হন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মারা গেলেন টনি লুইস

ক্রিকেটের বহুল ব্যবহৃত নিয়ম ডাকওয়ার্থ লুইসের অন্যতম স্রষ্টা টনি লুইস প্রয়াত হলেন। ৭৮ বছর বয়সে বুধবার মারা যান তিনি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেট বিশারদের এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

Advertisment

ইসিবি বুধবারই বিবৃতিতে বলে, "৭৮ বছর বয়সী টনি লুইসের মৃত্যুর খবর পেয়ে ইসিবি শোকাহত। ক্রিকেট টনি ও ফ্রাঙ্কের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমরা টনির পরিবারের কাছে সমবেদনা জানাচ্ছি।"

বোল্টনে জন্মগ্রহণ করা এই পরিসংখ্যানবিদ অঙ্ক ও পরিসংখ্যান নিয়ে শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
ক্রিকেট ও পরিসংখ্যান বিভাগে অবদানের জন্য ২০১১সালে ফ্রাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইসকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে স্যার উপাধি দেওয়া হয়।

ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়ম: ক্রিকেটে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়ম চালু হওয়ার আগে বৃষ্টির সাধারণ ওভার প্রতি নিয়ম চালু ছিল। এই নিয়মে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের উইকেট নিয়ম হিসাবে আনা হতো না। ১৯৯২ সালে এই নিয়মে আরও একটি ত্রুটি ধরা পড়ে। তা হলো প্রথমে ব্যাট করা দলের ভালো ওভারগুলোর সুবিধা হিসেবে অগ্রাহ্য করা হতো। এই নিয়মেই হাস্যকরভাবে শিকার হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দল। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১ বলে জয়ের জন্য টার্গেট দাঁড়িয়েছিল ২৭ রান।

ডাকওয়ার্থ ও লুইস দুই পরিসংখ্যানবিদ যে নিয়ম উদ্ভাবন করেন তাতে কেবলমাত্র বৃষ্টিবিঘ্নিত ওভারগুলি হিসাবে রেখে সেই অনুযায়ী দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়।

১৯৯৬-১৯৯৭ সালে জিম্বাবোয়ে বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে আইসিসি সরকারিভাবে এই নিয়ম গ্রহণ করে।

২০১৪ সালে এই নিয়মের আরও সংশোধন করেন কুইন্সল্যান্ডের গণিতজ্ঞ স্টিভেন স্টার্ন। এই নিয়মে তিনি যোগ করেন দলের স্কোরিং রেট। নতুন পরিশোধিত এই নিয়ম বর্তমানে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন নামে পরিচিত। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে এই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়।

cricket BCCI
Advertisment