ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ইতিহাস লিখল শাহরুখ খানের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। শুক্রবার ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে (সিপিএল) সর্বোচ্চ টি-২০ স্কোরের নজির গড়ল নাইটরা। কায়রন পোলার্ডের নাইটরা টস হেরে প্রথমে ব্যাট করা সিদ্ধান্ত নেয়।
কলিন মানরো (৫০ বলে অপরাজিত ৯৬) ও লেন্ডি সিমন্সের (৪২ বলে ৮৬) ব্যাটে ভর করে নাইটরা নির্ধারিত ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে তোলে ২৬৭ রান। টি-২০ ক্রিকেটে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে আফগানিস্তান বনাম চেক প্রজাতন্ত্র এবং আয়ারল্যান্ড বনাম তুরস্কর ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৭৮ রান হয়েছিল।
জামাইকার সাবিনা পার্কে নাইট বনাম ক্রিস গেইলের জামাইকা তালাওয়াহসের ম্যাচে মোট ৩৫টি ছয় হয়েছে। টি-২০ ফর্ম্যাটে এটাই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার হাঁকানোর ম্যাচ। এর আগে গত মঙ্গলবার এই টুর্নামেন্টেই সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস বনাম জামাইকা তালাহাওয়াসের ম্যাচ দেখেছিল ৩৭টি ছয়। টি-২০ ফর্ম্যাটে সেটিই সর্বোচ্চ ছয়ের ম্যাচ।
আরও পড়ুন: CPL 2019: গেইলের সেঞ্চুরিও ম্লান ২৪১ রান তাড়া করে রেকর্ড জয়ের ম্যাচে
এদিন সিমন্স আর সুনীল নারিন ওপেন করতে নেমেছিলেন নাইটদের হয়ে। প্রথম উইকেট পার্টানারশিপে তাঁরা ৫৫ রান তোলেন স্কোরবোর্ডে। নারিন ১৮ বলে ২০ রান করে জাহির খানের বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপর সিমন্স আর মানরোর ব্যাটে রানের ফুলঝুড়ি ছুটতে থাকে। সিমন্স আউট হওয়ার পর মানরো আর ক্যাপ্টেন পোলার্ড ধ্বংসলীলা চালাতে থাকেন। পোলার্ড ১৭ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন।
এই রান তাড়া করতে নেমে ক্রিস গেইল ও গ্লেন ফিলিপস শুরুটা ভাল করেছিলেন। কোনও বোলারকেই রেয়াত করছিলেন না তাঁরা। ২৪ বলে ৩৯ রান করে আউট হন গেইল। ফিলিপস ফেরেন ৩২ বলে ৬২ রান যোগ করে। দুই ওপেনার ফেরার পরেই খেলা থেকে ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকে জামাইকা। শেষ পর্যন্ত তারা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তুলতে সমর্থ হয়। ৪১ রানে হারতে হয় নাইটদের কাছে।