ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উত্তরণ নিশ্চিত হয়েছে, ২৪ ঘণ্টারও বেশি হয়ে গিয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া দেখে বোঝার উপায় নেই। সোশ্যাল মিডিয়া- ফেসবুক, টুইটারে শুভেচ্ছার বার্তা থামার কোনও ইঙ্গিতই নেই। সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগী থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার, ক্রিকেট প্রশাসক সৌরভকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিচ্ছেন।
অক্টোবরের ২৩ তারিখেই বিসিসিআইয়ের নির্বাচন। সেই নির্বাচনেই সৌরভের বোর্ড সভাপতি হওয়া একপ্রকার পাকা। কারণ কোনও প্রতিপক্ষই মনোনয়ন জমা করেনি। সেদিনেই সরকারিভাবে সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স-এর হাত থেকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় একদশক দাপিয়ে খেলার পরে সৌরভ ২০১৫ সাল থেকেই সিএবি প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। প্রথমে সচিব, তারপরে জগমোহন ডালমিয়া প্রয়াণের পরে তিনিই বাংলার ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি ছিলেন। কিছুদিন আগের নির্বাচনেও ফের একবার তিনি সিএবি-র সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। ৪৭ বছরের মহাতারকা দায়িত্বপ্রাপ্তির দিনেই ভারতীয় ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর বার্তা দিয়েছেন।
যাইহোক, প্রিয় দাদা-র মসনদ প্রাপ্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাংওভার কাটার লক্ষ্মণই নেই। শুভেচ্ছাবার্তা প্রেরক হিসেবে কে নেই- লক্ষ্মণ, বীরেন্দ্র শেওয়াগ, আকাশ চোপড়ার মতো প্রাক্তন সতীর্থরা রয়েছেন। কমেন্টেটর হর্ষ ভোগলে থেকে তাতেন্দা তাইবুর মতো বিদেশী ক্রিকেটার- তালিকায় বড় বড় নাম।
লক্ষ্মণ যেমন টুইট করে জানিয়ে দিয়েছেন, “বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার জন্য সৌরভকে অনেক অভিনন্দন। কোনও সন্দেহ নেই যে সৌরভের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেট আরও উন্নতি করবে। নতুন ভূমিকায় সাফল্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।”
প্রসঙ্গত, পাশাপাশি মনোনয়ন জমা দিয়েই সৌরভের গলায় শোনা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটকে ঢেলে সাজানোর বার্তা। তিনি বলেছেন, “বিসিসিআইয়ের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। তাই বোর্ডকে নতুন করে সাজানোর ভাল সুযোগ রয়েছে আমার কাছে। নির্বাচিত হলাম নাকি মনোনীত হলাম, তার থেকেও বড় বিষয় হল, এটা বড় দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে আমার কাছে। কারণ, বিসিসিআই ক্রিকেটের সবথেকে বড় সংস্থা। ইন্ডিয়া ক্রিকেটের পাওয়ার হাউস। এটা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।” এরপরে তাঁর সংযোজন, “আশা করি সামনের কয়েকমাসে ভারতীয় ক্রিকেটকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।”
Read the full article in ENGLISH