করোনাতঙ্কের জেরে এক বছরের মতো ইউরো ২০২০ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল উয়েফা (UEFA)। এর ফলে তাদের বিঘ্নিত সিজন এবছর শেষ করে নিতে পারবে ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাব, এমনটা আশা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আগামী বছরের গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হবে ইউরো। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ জুন থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ইউরো ২০২০, কিন্তু পরিবর্তিত সময়সূচী অনুযায়ী এবার তা অনুষ্ঠিত হবে ১১ জুন থেকে ১১ জুলাই, ২০২১। উয়েফা'র ৫৫টি সদস্য দেশের এক কনফারেন্স কলে একথা ঘোষণা করে নরওয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
এর আগে ইউরোপ জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে যায় সমস্ত ফুটবল লীগ। 'The Athletic'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউরো টুর্নামেন্টের এক বছরের এই বিলম্বের জন্য বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী ক্লাবের কাছ থেকে ২৭৫ মিলিয়ন পাউন্ড (আন্দাজ ২,৫০০ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ দাবি করবে উয়েফা।
এই ক্ষতিপূরণের অনেকটাই উয়েফা'র টেলিভিশন চুক্তি এবং স্পনসরদের লোকসান মেটানোর জন্য ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে 'The Athletic'। এছাড়াও ইউরো ২০২০ স্থগিত হলে পিছিয়ে যাবে আরও বেশ কিছু টুর্নামেন্ট, যেমন উইমেন'স ইউরোস, নেশনস লীগ এবং ইউরোপের অনূর্ধ্ব-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ।
উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার সেফেরিন-এর আহ্বানে এই সব বিষয়েই আলোচনা করতে মঙ্গলবার ভিডিও কলে মিলিত হন ৫৫টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। উয়েফা-র উপরোক্ত টুর্নামেন্টগুলি ছাড়াও আলোচ্যের তালিকায় ছিল চ্যাম্পিয়নস লীগ এবং ইউরোপা লীগ।
ইউরো ২০২০ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মহাদেশের মোট বারোটি স্টেডিয়ামে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল হওয়ার কতাহ ছিল লন্ডনের ওয়েম্বলিতে, যেখানে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রিমিয়ার লীগ।
প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের গর্ডন টেলরের মতে, ইউরো ২০২০ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। "নিশ্চিতভাবেই সিজন শেষ করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, নাহলে যেসব ক্লাব ইউরোতে খেলার যোগ্যতা প্রায় অর্জন করে ফেলেছিল, বা প্রিমিয়ার লীগ জেতার কাছাকাছি এসেছিল, তাদের প্রতি অবিচার করা হয়," বলেন তিনি। "আমাদের প্রথম কর্তব্য আমাদের প্লেয়ারদের ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যরক্ষা, কিন্তু ফুটবল ফিরলে আগে চলতি সিজন শেষ করা উচিত, পরের সিজন দেরিতে শুরু হলেও।"