বড়সড় প্রতারণার মুখে পড়লেন জাতীয় দলের তারকা পেসার উমেশ যাদব। মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরে জমি কেনার নাম করে উমেশ যাদবের ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিলেন তাঁর বন্ধু কাম ব্যক্তিগত ম্যানেজার। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উমেশ যাদবের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর ম্যানেজার শৈলেশ ঠাকরের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৩৭ বছরের ঠাকরে মহারাষ্ট্রের কোরাডির বাসিন্দা। পুলিশ এখনও তাঁর নাগাল পায়নি। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
বন্ধু শৈলেশ বেকার ছিলেন। তাই বন্ধুকেই নিজের ম্যানেজার বানিয়ে নিয়েছিলেন উমেশ যাদব। ২০১৪-র ১৫ জুলাই থেকে শৈলেশই উমেশের ম্যানেজারের ভূমিকা পালন করেছেন। এমনটাই জানানো হয়েছে এফআইআর-এ।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শৈলেশে আরও আস্থা বেড়েছিল উমেশের। তারকা পেসার তাঁর ওপরেই সমস্ত আর্থিক লেনদেনের কাজে ভরসা রাখেন। ব্যাঙ্কের সমস্ত লেনদেন, ইনকাম ট্যাক্স হোক বা সমস্ত আর্থিক বিষয়- শৈলেশই ছিলেন উমেশের মুশকিল আসান।
উমেশ সম্প্রতি নাগপুরে জমির সন্ধান করছিলেন। বন্ধু উমেশকে নিজের ইচ্ছার কথাও জানান। উমেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, শৈলেশ নাগপুরে এক পরিত্যক্ত জমিরও সন্ধান পান। ৪৪ লক্ষ টাকায় সেই জমি কেনার বন্দোবস্ত করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন তারকা ক্রিকেটারকে। বন্ধুর কথা মতোই উমেশ তাঁর ব্যাঙ্ক একাউন্টে ৪৪ লক্ষ টাকা জমা করেন। তবে জমি শৈলেশ নিজের নামেই কেনেন, উমেশের নামে নয়।
পুরো জালিয়াতি বুঝতে পারার পরেই উমেশ ম্যানেজারকে তাঁর নামে জমি ট্রান্সফার করতে বলেন। তবে শৈলেশ ক্রিকেটারের কথায় কর্ণপাত করা তো দূর, টাকাও ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উমেশ সঙ্গেসঙ্গেই থানায় ব্যক্তিগত আপ্তসহায়কের নামে এফআইআর করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ এবং ৪২০ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
Read the full article in ENGLISH