মাত্র তিন সেকেন্ডেই বদলে গেল আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। আউট দিয়েও শেষমেশ সেই আউটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। মাত্র তিন সেকেন্ডের ব্যবধানে। বিগ ব্যাশ লিগে এমনই অবাক করা কাণ্ডের সাক্ষী থাকল ক্রিকেট মহল।
আউট হলে বিগ ব্যাশে সেটাই হত বোলার জেভিয়ের ক্রোনের প্ৰথম উইকেট। অ্যাস্টন টার্নারকে আউট হয়ে ফিরতে হত। বোলার ক্রোনের আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ড আউটও দিয়ে দিয়েছিলেন। তবে কয়েক সেকেন্ড পরেই নিজের ভুল শুধরে নেন তিনি। আউটের সিগন্যাল দেওয়ার পরেই ব্যাটসম্যান অ্যাস্টন টার্নার ইঙ্গিতে আম্পায়ারকে বোঝান বল হেলমেটে লেগেছে। তখনই সিদ্ধান্ত বদল করেন অক্সেনফোর্ড। হঠাৎ আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদল করায় সকলে হচকচিয়ে যায়। মেলবোর্ন স্টার্সের অধিনায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সরাসরি আম্পায়ারের কাছে গিয়ে স্পষ্ট বিষয়টি জানতে চান।
আরও পড়ুন: ভারতের জয়ী একাদশেও ঘটছে বিরাট বদল! এই তারকা হয়ত বাদ পড়তে পারেন
আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলায় ব্যাটসম্যান টার্নার নতুন করে ব্যাট করার সুযোগ পান। আরও ১৯ রান যোগ করে যান তিনি। শেষমেশ আউট হওয়ার আগে অ্যাস্টন টার্নার ১৯ বলে ২৭ করে যান।
খেলায় যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় সেই কারণে অন ফিল্ড আম্পায়াররা সাধারণত নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলান না। আর টার্নারের ক্ষেত্রে এই ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল বিগ ব্যাশ লিগ। শেষ দিকে টার্নারের ২৭ রানে ভর করে পার্থ স্করচার্স স্কোরবোর্ডে ১৮০ তুলে ফেলে। টার্নারের আগে কুর্তিস প্যাটারসন ৩৯ বলে ৫৪ এবং কলিন মুনরো ২০ বলে ৪০ করে যান।
জবাবে মেলবোর্ন স্টারস জো ক্লার্ক এবং টম রজার্সের ব্যাটে শুরুটা দারুণ করেছিল। মাত্র ৮.৩ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৭৮ তুলে দিয়েছিলেন দুজনে। তবে ওপেনিং জুটি ভাঙার পরে বাকিরা কেউ ব্যাট হাতে লড়তে পারেননি। স্টারস ব্রিগেড মাত্র ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়। ম্যাচে স্করচার্স জয়লাভ করে ৫০ রানের ব্যবধানে।
পার্থ স্করচার্সের হয়ে পেসার টাইমাল মিলস ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়াও এন্ড্রু টাই এবং পিটার হাজোগ্লু দুটো করে উইকেট নেন। এই জয়ে ৭ ম্যাচের ৬ জয় সমেত পার্থ আপাতত লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে।
আর হাফডজন ম্যাচ খেলার পরে মেলবোর্ন স্টারস মাত্র তিনটি জয় পেয়েছে। লিগ তালিকায় তারা আপাতত ছয় নম্বরে। সোমবার মেলবোর্ন স্টারস এমসিজিতে নামছে মেলবোর্ন রেনেগ্রাডসের বিরুদ্ধে। বুধবার পার্থের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সিডনি থান্ডার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন