Umran Malik fast bowling contract: মহম্মদ শামির চোটের কথা মাথায় রেখে পেস বোলিংয়ের অস্ত্রভাণ্ডারে ইতিমধ্যেই শান দিতে শুরু করেছে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইতিমধ্যেই পাঁচ পেসারকে চুক্তিবদ্ধ করেছে। যার অন্যতম উমরান মালিক।
চলতি বছরের শেষেই টিম ইন্ডিয়ার অস্ট্রেলিয়া সফর। সেখানে পাঁচ টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবে ভারত। ডিসেম্বরে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি। তার আগে এই সিরিজ হবে। সেখানেই অভিষেক ঘটতে পারে উমরানের। অস্ট্রেলিয়ার গতিময় পিচেই ট্রাভিস হেডদের বিরুদ্ধে পরীক্ষার মুখোমুখি হতে পারেন জম্মু-কাশ্মীরের এই পেসার।
এই পরিকল্পনা থেকেই জাতীয় দলের নির্বাচকরা ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর ক্রীড়া সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে, উমরানকে বেশি করে বল করানোর। ইতিমধ্যেই রঞ্জিতে এই ফাস্ট বোলারের পাঁচটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। গত বছর উমরান মাত্র একটি রঞ্জিম্যাচ খেলেছিলেন। তার আগের বছর খেলেছিলেন দুটি ম্যাচ।
এবারে তিনি ম্যাচগুলো খেলেছেন, তার সবগুলোই আবার অ্যাওয়ে ম্যাচ। তার মধ্যে ওড়িশার বিরুদ্ধে কটকে দুই ইনিংসে ২৬ ওভার বল করেছেন। আর, সবগুলোই ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে। এসব কথা মাথায় রেখেই বিসিসিআই আশা রাখছে যে উমরান লম্বা রেসের ঘোড়া হয়ে উঠতে পারবে। এই ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক বলেছেন, 'ওর মধ্যে একটা বিরল প্রতিভা আছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে। আমাদের এখন টার্গেট হল ওকে দিয়ে টানা বল করানো।'
ভারত এখন থেকেই অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে ভাবছে, কারণ, ২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১ সফরে ভারত অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। এবারও জিততে পারলে টানা তিনবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় সম্ভব হবে। তবে, এবারের সফরটা অন্যবারের চেয়ে একটু কঠিন। কারণ, প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে অজিরা নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে। কয়েক মাস আগে ভারতে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফিও অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গেছে।
তার ওপর আবার মহম্মদ শামির চোট। একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী শামি। সেই শামির পাশাপাশি প্রসিধ কৃষ্ণারও চোট। এই পরিস্থিতিতে মুকেশ কুমার, আভেশ খান, আরশদীপরা উঠে এলেও, তারা এখনও শিক্ষানবিশের পর্যায়েই আছে। আকাশদীপের অবশ্য রাঁচিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছে। সেখানে মোটের ওপর ভালোই খেলেছেন বাংলার বোলার। সেই কারণে চুক্তিবদ্ধ পাঁচ বোলারের তালিকায় তিনিও আছেন। উমরান বাদে তালিকার বাকিরা হলেন কর্ণাটকের বিজয়কুমার বিশাখ, বিদ্বার্থ কাভেরাপা ও উত্তরপ্রদেশের বাঁহাতি পেসার যশ দয়াল। তার মধ্যে সুবিধাভোগীদের তালিকায় আকাশদীপ এগিয়ে। আরও দুটো টেস্ট ম্যাচ খেললেই আকাশদীপ বিসিসিআইয়ের চুক্তির গ্রেড সি-তে স্থান পাবে।
আরও পড়ুন- রোহিতকে টপকে কোহলিকে চ্যালেঞ্জ! ICC র্যাঙ্কিংয়ে ঝড় তুলে দেওয়া কে এই অনামি হ্যারি টেক্টর
এই ব্যাপারে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ বলেছেন, 'এই চুক্তির লক্ষ্য হল, ফাস্ট বোলারদের একটি বেঞ্চ তৈরি করা। এই বোলাররা বিমার সুবিধা পাবেন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।' এছাড়া অর্থও পাবেন। সেটা কত, তা এখনও যদিও ঠিক হয়নি। এমনিতে জাতীয়স্তরে রিটেনাররা সবচেয়ে কম বার্ষিক ১ কোটি টাকা পান। আকাশদীপ, উমরানরা প্রাথমিকভাবে ততটা না পেলেও, ভালো খেললে যে টিম ইন্ডিয়ার বাকি খেলোয়াড়দের মত রীতিমতো টাকার পাহাড়ে শুয়ে থাকতে পারবেন, সেটা নিশ্চিত।