দলে সুযোগ না দেওয়ায় নির্বাচককে বেধড়ক মার ক্রিকেটারের

দল বাছাইকে কেন্দ্র করে ঘরোয়া ক্রিকেটে ঘটে গেল বেনজির ঘটনা। ন্যাক্কারজনক বললেও কম বলা হবে। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার ও দিল্লি দলের মুখ্য নির্বাচক অমিত ভাণ্ডারী নিগৃহীত হলেন খেলোয়াড়ের হাতেই।

দল বাছাইকে কেন্দ্র করে ঘরোয়া ক্রিকেটে ঘটে গেল বেনজির ঘটনা। ন্যাক্কারজনক বললেও কম বলা হবে। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার ও দিল্লি দলের মুখ্য নির্বাচক অমিত ভাণ্ডারী নিগৃহীত হলেন খেলোয়াড়ের হাতেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Amit Bhandari

আক্রান্ত অমিত ভাণ্ডারী

দল বাছাইকে কেন্দ্র করে ঘরোয়া ক্রিকেটে ঘটে গেল বেনজির ঘটনা। ন্যাক্কারজনক বললেও কম বলা হবে। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার ও দিল্লি দলের মুখ্য নির্বাচক অমিত ভাণ্ডারী নিগৃহীত হলেন খেলোয়াড়ের হাতেই। গত সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের মাঠে। অনূর্ধ্ব-২৩ দল বাছাই নিয়ে কাজিয়ার সূত্রপাত হয়। তারপর পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে, বছর চল্লিশের ভাণ্ডারীর ওপর চড়াও হন বাছাই তালিকায় স্থান না পাওয়া  অনূর্ধ্ব-২৩ ক্রিকেটার অনুজ ধেড়া ও দুস্কৃতীরা। ভাণ্ডারীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মাথায়, বুকে ও হাঁটুতে চোট নিয়ে সন্ত পরমানন্দ হাসপাতালে ভর্তি তিনি। হয়েছে সিটি স্ক্যান।

Advertisment

দিল্লির অনূর্ধ্ব-২৩ দলের নির্বাচক ও অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সুখবিন্দর সিং জানিয়েছেন যে, দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ভাণ্ডারীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ধেড়া। এমনকি ভাণ্ডারীকে চড়ও কষান ধেড়া। ধেড়ার সঙ্গে থাকা দুস্কৃতীরা লোহার রড আর হকি স্টিক দিয়ে ভাণ্ডারীকে মারতে শুরু করেন। আসন্ন সইদ মুস্তাক ট্রফির ট্রায়ালের জন্য মাঠে হাজির ছিলেন এদিন দিল্লির মুখ্য নির্বাচক । দিল্লি দলের সিনিয়র কোচ মিঠুন মানহাস ও বোলিং কোচ পরবিন্দর আনওয়ানাও ছিলেন তাঁর সঙ্গে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সুখবিন্দর বললেন, “আমরা ট্রায়াল ম্যাচ দেখছিলাম। তখনই ধেড়া এসে ভাণ্ডারীকে জিজ্ঞাসা করে কেন তাঁকে দলে সুযোগ দেওয়া হলো না? ভাণ্ডারীকে জানানো হয় যে তাঁর পারফরম্যান্স দলে জায়গা করে নেওয়ার মতো হয়নি।” সুখবিন্দর আরও বলছেন যে, ধেড়া রণংদেহী মেজাজে ধেড়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁর কলার ধরে চড় মারেন। মানহাস ও সুখবিন্দর যখন তাঁকে থামাতে যান, তখন ধেড়া তাঁদেরকে রিভলভারের ভয় দেখিয়ে বলে এখান থেকে সরে যেতে, নাহলে তিনি গুলি চালাবেন।

আরও পড়ুন: ব্যাটসম্যানের শট সজোরে এসে লাগল কপালে, মাঠেই লুটিয়ে পড়লেন দিন্দা

Advertisment

এখানেই শেষ নয়। সুখবিন্দর আরও জানালেন, “সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের বাইরে আরও পাঁচজন ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। এছাড়াও আরও ১৫ জন প্রধান প্রবেশদ্বারের এক নিরাপত্তারক্ষীকে সরিয়ে ভেতরে ঢুকে আসে। অনান্য খেলোয়াড়রাও তখন চলে আসে। এরপরই ধেড়া হকি স্টিক দিয়ে ভাণ্ডারীর মাথায় আক্রমণ করার চেষ্টা করে। ভাণ্ডারীর রক্তাক্ত মাথা দেখেই সে থেমে যায়। এরপর পুলিশ আসার আগেই তাঁরা পালিয়ে যায়।” এই ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। ডিসি নর্থ নুপুর প্রসাদ জানিয়েছেন, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আক্রান্তের বয়ানের ভিত্তিতে মামলাও রজু করা হয়েছে কাশমেরে গেট পুলিশ স্টেশনে। আইপিসি-র ৩০৮, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। ধেড়া ও তাঁর সহযোগী নরেশকে ধরা হয়েছে।” এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন দিল্লির দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার বিষেন সিং বেদী ও গৌতম গম্ভীর।

Read the full story in English

cricket