আইপিএলের নিলামে ব্রাত্য ছিলেন। তবে জাতীয় দলের নির্বাচকরা হতাশ করেননি। গুজরাটের ২৩ বছরের সিমারকে কার্যত চমকে দিয়েই নির্বাচকরা আর্জান নাগাসওয়ালাকে বেছেছেন অন্যতম স্ট্যান্ড বাই হিসাবে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং পাঁচ টেস্টের ইংল্যান্ড সিরিজে অনুশীলনে কোহলিদের প্রস্তুতিতে সহায়তা করবেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই স্ট্যান্ড বাই হিসাবে রয়েছেন আবেশ খান, অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
২০১৯-২০ রঞ্জি মরশুমে নাগাসওয়ালা ৮ ম্যাচে ১৮.৩৬ গড়ে ৪১ উইকেট তুলে নিয়ে নজর কেড়েছিলেন। তার আগের বছরেই গুজরাটের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন। রঞ্জিতে দুরন্ত পারফর্ম করার পরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও চমকপ্রদভাবে নিজেকে মেলে ধরেন। তা সত্ত্বেও আইপিএলের নিলামে অবিক্রিত ছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন: কোভ্যাক্সিন নয়, কোহলি-রোহিতদের নিতে হবে কোভিশিল্ড-ই! বোর্ডের এমন ফরমানের কারণ জানুন
কেন হঠাৎ অনামি নাগাসওয়ালাকে রাখা হয়েছে স্কোয়াডে। ভারতীয় ক্রিকেটের ওয়াকিবহাল মহলের সূত্রে বলা হয়েছে, ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোহলিদের মোকাবিলা করতে হবে দুই কিউয়ি বাঁ হাতি সিমার নীল ওয়াগনার এবং ট্রেন্ট বোল্টকে। নাগাসওয়ালার উইকেটের দু-দিকেই বল সুইং করাতে পারেন। বাঁ হাতি সুইং বোলার হিসাবে তাই টিম ইন্ডিয়ার অনুশীলনের জন্য বাছা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র বর্ডার ঘেঁষা গুজরাটের পার্সি সম্প্রদায়ের সদস্য নাগাসওয়ালা। ১৯৯৭-এ জন্মগ্রহণ করেন সুরাতে। সমস্ত বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে পারফর্ম করে তবেই গুজরাটের সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়েছেন। গত দু-বছর ধরেই দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিনি। অভিষেক মরশুমেই ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নিয়ে রাতারাতি নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। তারপর আর তিন বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট দখল করেছেন। পাঞ্জাবের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁর শিকার সংখ্যা ছিল ১০।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে ভারতের টেস্টে পারফরম্যান্স মোটেই আশাপ্রদ নয়। গত বছর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ভারত ০-২ ব্যবধানে হার হজম করে। সবমিলিয়ে, ১৯৭৬ সালের পর বিদেশের মাটিতে মাত্র ১বার কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। ২০০৯ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সেই জয় এসেছিল।
চেতন সাকারিয়া, জয়দেব উনাদকারের বদলে স্ট্যান্ড বাই বোলার হিসাবে টিম ইন্ডিয়াকে কি সাফল্যের পথ বাতলাতে পারবেন নাগাসওয়ালা?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন