উরুগুয়ে ২ (কাভানি ৭', ৬২')
পর্তুগাল ১ (পেপে ৫৫')
লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়াই এবার এগিয়ে যাবে রাশিয়া বিশ্বকাপ।ঘণ্টা কয়েকের ব্যবধানে বিশ্বকাপ হারাল তার দুই সেরা আইকনকে।শনিবার কাজান এরিনায় ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে মেসির আর্জেন্তিনা। এবার উরুগুয়ে ২-১ হারিয়ে দিল রোনাল্ডোর পর্তুগালকে। নক-আউটে উঠেই যাত্রা শেষ হল।
এদিন আর্জেন্তিনা ও পর্তুগাল যদি জিততে পারত তাহলে এই টুর্নামেন্ট বিশ্ব ফুটবলের দুই শ্রেষ্ঠ মহারথীর দেশের জার্সিতে ডুয়েল দেখতে পারত। কিন্তু আপাতত মাঠে নয়, মেসি-রোনাল্ডোর দেখা হতে পারে বিমানবন্দরে। দু' জনেই আজ পরাজিত দেশনায়ক।উরুগুয়ে-পর্তুগাল ম্যাচটা ছিল নক-আউটের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচটা যদি ক্লাসিক হয়ে থাকে তাহলে দ্বিতীয় ম্যাচটা ছিল নেক-টু-নেক।
এদিন ফার্নান্দো স্যান্তোসের দলকে কার্যত অস্কার তাবারেজ অনেক আগেই পড়ে নিয়েছিলেন। তাবারেজ দু'টো কাজ করলেন। এক) বিপক্ষের সেরা ফুটবলার, সিআর সেভেনকে জোনাল মার্কিংয়ে রেখে তাঁর থেকে ফ্রি-খেলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া। দুই) গোল করার পর সেটাকে ধরে রাখতে দলের অর্ধেক ফুটবলারকে রক্ষণে নামিয়ে দেওয়া। এদিন উরুগুয়ের রক্ষণ আলাদা ভাবে নজর কাড়ল। ফুলমার্কস নিয়ে পাস করলেন ক্যাকেরাস, গিমিনেজ, গডিন ও ল্যাক্সাটরা। তাঁদের পায়ের জঙ্গলেই আটকে গেল রোনাল্ডোদের প্রচেষ্টা।
অবশ্যই বলতে হবে এডিসন কভানির গোল দু'টোর কথা। পর্তুগালের রক্ষণের ফাঁকফোকরটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তিনি। ম্যাচের সাত মিনিটে সুয়ারেজের ক্রস থেকে তাঁর চিপটা ছিল বাঁধিয়ে রাখার মতো। এই গোলেই উরুগুয়ে বিরতিতে ১-০ এগিয়ে মাঠ ছাড়ে।দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মধ্যে গুয়েরিওর কর্নার থেকে হেড করে সমতায় ফেরান পেপে। কিন্তু ম্যাচের ৬২ মিনিটে বেনট্যানকারের ক্রস থেকে কভানির টপ কর্নার লক্ষ্য করা দুরন্ত শট সব হিসেব বদলে দিল। এটাই ম্যাচের স্কোরলাইন লিখে দিল। দ্বিতীয় গোল হজম করার পর মরিয়া চেষ্টা করেও ম্যাচে ফিরতে পারল না ২০১৬-র ইউরো চ্যাম্পিয়ম টিম। এবারও বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল সিআর সেভেনকে। তিনিও সম্ভবত মেসির মতো শেষবার ফুটবলের মহোৎসবে সামিল হলেন।
এদিন বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা মুহূর্তটা রোনাল্ডোই উপহার দিলেন। চোট পেয়ে ৭৪ মিনিটে মাঠ ছাড়া কাভানি তাঁর কাঁধে ভর করেই সাইডলাইনের দিকে এগিয়ে গেলেন। স্পোর্টসম্যানশিপের বিজ্ঞাপনটা দিয়ে দিলেন রোনাল্ডো।