জেলেই যেতে হল অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলের ক্রিকেটার উসমান খোয়াজার দাদা আরসালান তারিক খোয়াজাকে। ভুয়ো সন্ত্রাসবাদী প্রতিপন্ন করতে দুই আলাদা ব্যক্তিকে ষড়যন্ত্র করেছিলেন আরসালান। সেই কারণে আগেই গ্রেফতার হতে হয় তাঁকে। তারপর দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হল আপাতত হাজতবাস হচ্ছে তাঁর।
নিউ সাউথ ওয়েলশ ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক রবার্ট ওয়েবার ৪০ বছরের খোয়াজাকে এদিন হাজতবাসের নির্দেশ দেন। জেলে তাঁকে আপাতত কাটাতে হবে সাড়ে চার বছর। এর আগে থেকেই জেলে রয়েছেন তিনি। সেই হিসাবে আরো আড়াই বছর জেলে থাকতে হবে। জুনে অবশ্য প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন আরসালান।
আরো পড়ুন: দু-বার বিশ্বকাপের ফাইনালের সেরা হয়েছিলেন, অবসর ঘোষণা করলেন বুধবার
পুরো ঘটনাই একটি নারীকে কেন্দ্র করে। নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরই সতীর্থ ছিলেন কামের নিজামদিন। কামের এবং আরসালান- দুজনের একজন কমন মহিলা ফ্রেন্ড রয়েছে। ওই নারীর জন্যই ঈর্ষাপরায়ন হয়ে কামেরকে ফাঁসাতে চান খোয়াজার দাদা।
বেশ কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস থেকে ল্যাপটপ এবং নোটবুক উদ্ধার করে অস্ট্রেলিয়ান পুলিশ। সেখানেই অজি প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ও তাঁর সহকারীকে হত্যার ছক কষা ছিল। অস্ট্রেলিয়ার একাধিক স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানোর ব্লু প্রিন্টও উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরেই অভিবাসী পড়ুয়া শ্রীলঙ্কার কামের নিজামদিনকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তদন্তে জানা যায় নারীঘটিত বিদ্বেষের কারণে সতীর্থকে ফাঁসাতে চেয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন উসমান খোয়াজার দাদা আরসালান। নিজের অপকর্ম স্বীকার করে নেন তিনিও। তখনই জানা যায় আগেও একই ভাবে অন্য একজনকে ফাঁসিয়েছিলেন তিনি।
এই ঘটনা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করেছে প্রথমে দোষী সাব্যস্ত হওয়া কামের নিজামদিনকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন তাঁর বান্ধবী। এই কাণ্ডে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে তাঁর। পাক বংশোদ্ভূত খোয়াজা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৪টি টেস্ট এবং ৪০টি একদিনের ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। তবে তাঁর ইমেজ ভূলুণ্ঠিত হল দাদার কীর্তিতে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন