Marais Erasmus Interview: ২০১৯ বিশ্বকাপের চরম রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল নিয়ে এবার মুখ খুললেন আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস। নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড সেই ফাইনালে আম্পায়ারিং করেছিলেন কুমার ধর্মসেনা এবং মরিস ইরাসমাস। ইংল্যান্ডের রান চেজ করার সময় ৫০ তম ওভারে মার্টিন গাপটিলের থ্রো-য় ইরাসমাস এবং ধর্মসেনা পাঁচ রানের পরিবর্তে ৬ রান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ক্রিজে সেই সময়ের দুই ইংরেজ ব্যাটার আদিল রশিদ এবং বেন স্টোকস পরস্পরকে ক্রস করেননি। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময়েই বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে থ্রো করা বল অন্যত্র চলে যায়।
দ্য টেলিগ্রাফ-এ ইরাসমাস বলেছেন, "পরের দিন হোটেল রুম থেকে বেরিয়ে ব্রেকফাস্ট করার জন্য যাচ্ছিলাম। সেই সময়েই কুমার ধর্মসেনা রুমের দরজা খুলে আমার সামনে হাজির হন। উনি বলেন, 'বুঝতে পারছ, কত বড় একটা ভুল হয়ে গিয়েছে?"
"সেই সময়েই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হয়। কিন্তু মাঠে আমরা ছয় রানের জন্য সিদ্ধান্ত নিই। আমরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে সিদ্ধান্ত নিই, ছয়-ছয়-ছয় রান হবে ওটা। বুঝতেই পারিনি দুই ব্যাটার পরস্পরকে ক্রস-ই করেনি।"
আরও পড়ুন- আম্বানিদের বৈঠকে ডাকল জয় শাহের বোর্ড! আরও কোটি কোটি টাকার ছররা হবে IPL-এ
ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, ছয় নয়, পাঁচ রান প্রাপ্য ইংল্যান্ডের। যে সময় মার্টিন গাপটিল বল থ্রো করেছিলেন, সেই সময় স্টোকস এবং রশিদ দুজনকে ক্রস করেননি।
এমসিসি-র রুল বুকের ১৯.৮ ধারায় বলা হয়েছে, যদি ফিল্ডারের ছোঁড়া থ্রো থেকে বাউন্ডারি হয়, তাহলে বাউন্ডারির সঙ্গে ব্যাটারদের সম্পূর্ণ করা রান এবং সম্পূর্ণ হতে চলা রান (যদি দুই ব্যাটার পরস্পরকে ক্রস করে থাকে) যোগ করে ব্যাটিং দলের মূল স্কোরের সঙ্গে যুক্ত হবে।
এই ওভার থ্রোয়ের প্রাপ্ত রান থেকে ইংল্যান্ড ম্যাচ টাই করে। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে বাউন্ডারি কাউন্টে শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। ট্রফি জেতেন ইওন মর্গ্যান।