চোটের জন্য আইপিএলের উদ্বোধনী সংস্করণ খেলা হয়নি। তা নিয়ে আক্ষেপ নেই। বরং বিনোদ কাম্বলির আপাতত তাঁর পাখির চোখ আইপিএলের কোনো দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা হওয়া।
শচীনের বাল্যকালের বন্ধু কাম্বলি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, "আমার শিনবোনে অস্ত্রোপচারের জন্য সেই সময় ছুটতে পারতাম না। সেই কারণে ২০০৮-এ আইপিএল খেলা হয়নি। তারপর মুম্বইয়ের রঞ্জি দল থেকেও সরিয়ে অবসর নিয়ে ফেলি। এখনো আমার পায়ে লোহার রড রয়েছে। আইপিএলের কোনো দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা হওয়া এখন স্বপ্নের মত।"
আরো পড়ুন: দেশকে ধোনি উপহার দিয়েছিলেন, তিনিই চলে গেলেন করোনায়
কেন নিজেকে ব্যাটিং পরামর্শদাতা ভূমিকায় দেখতে চান, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন জাতীয় দলের একসময়ের তারকা। ৪৮ বছরের তারকা বলেন, "আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছি। প্রচুর খেলা দেখি। তরুণ ক্রিকেটারদের সাহায্য করার মত যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও আমার রয়েছে। উঠতি ক্রিকেটারদের টিপস দিতে ব্যাপক মজা হবে।"
বর্তমানে নভি মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে বন্ধু শচীনের ক্রিকেট একাডেমিতে এবং বিকেসির এমসিএ ক্লাবে কোচিং করেন তিনি।
নিজের সময়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে কাম্বলি জানালেন, "আমাদের সময়ে প্রথম ১৫ ওভারে পাওয়ার প্লে হত। তারপরে ফিল্ডিং ছড়িয়ে পড়ত। সেই পাওয়ার প্লে-টাই আমাদের কাছে টি২০ ক্রিকেটের মত ব্যাপার ছিল। তখনও অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের সামলানো মুশকিল ছিল। সেই অর্থে খেলা এখনো সেভাবে পাল্টে যায়নি। টি২০ ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের এপ্রোচ কেমন হবে, তা উঠতি ক্রিকেটারদের শেখাতে পারবো।"
স্পিনারদের বিরুদ্ধে নিজের সেরা সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন। সেকথা জানান দিয়েই যেন কাম্বলি বলতে থাকেন, "আমার ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার ফলো করলেই বোঝা যাবে আইপিএলের প্রতি ম্যাচ ফলো করি। এখন সব লেগস্পিনাররাই গুগলি দিয়ে থাকে। পরপর গুগলি সামলানো বেশ চ্যালেঞ্জিং। গুগলির বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানদের ফুটওয়ার্ক কেমন হবে, তা সাহায্য করতে পারব নতুন ক্রিকেটারদের।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন