৪৮ ঘন্টা আগেই স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে। তারপরেই আসরে নামল সংশ্লিষ্ট ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সিইও বান্টি সাজদে জানান, নিজেদের কায়েমি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিরাট কোহলির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে তৃতীয় পক্ষ।
মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার লাইফ মেম্বার সঞ্জীব গুপ্ত অভিযোগ করেছিলেন, বিরাট কোহলি স্বার্থ সংঘাতের ঘটনায় যুক্ত। তার যুক্তি ছিল, বিরাট একইসঙ্গে ভারতীয় জাতীয় দলের অধিনায়ক আবার একটি প্রজেক্টের ডিরেক্টরও, যে প্রজেক্টের কো ডিরেক্টররা কর্নারস্টোন স্পোর্টস এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থার সঙ্গে জড়িত। এই ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাই জাতীয় দলের বেশ কিছু ক্রিকেটারকে প্ৰতিনিধিত্ব করে।
বোর্ডের অম্বুডসম্যান ডিকে জৈন জানান, সঞ্জীব গুপ্তের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে রাখছেন, অতীতেও সঞ্জীব গুপ্তা জাতীয় দলেট অন্যান্য ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন, যা পরে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।
যাইহোক, সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সংশ্লিষ্ট ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সিইও বান্টি সাজদে জানালেন, "বিরাটের নাম প্রতি মুহূর্তে টেনে আনা হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। এই অভিযোগ পুরোপুরি অসত্য। আমাদের অন্যান্য ক্লায়েন্টদের মতোই বিরাট কর্নারস্টোনের এক্সক্লুসিভ ক্লায়েন্ট। একটি দায়িত্বশীল এজেন্সির মত আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, আমাদের কোনো ক্লায়েন্টই স্বার্থ সঙ্ঘাতের ঘটনায় জড়িত নন। তবে কায়েমি স্বার্থের উদ্দেশে তৃতীয় পক্ষ এমন অভিযোগ আনছে।"
এই সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কর্নারস্টোন স্পোর্টস এন্ড প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থায় কোহলির কোনো ভূমিকা নেই ক্লায়েন্ট হওয়া ছাড়া। তবে কর্নারস্টোনের সহযোগী সংস্থা 'পার্টনারস এলএলপি এবং কোহলি স্পোর্টস এলএলপি'র ডিরেক্টর বিরাট। যেখানে ডিরেক্টর সাজদেও।
প্রসঙ্গত, এর আগে একইভাবে সঞ্জীব গুপ্তা শচীন, সৌরভ এবং ভিভিএস লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। যা পরে খতিয়ে দেখেন বোর্ডের অম্বুডসম্যান।
বান্টি সাজদে তাই বলে দিচ্ছেন, "সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে, সবাই যেন বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখেন। স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করি।"