এই বিতর্ক সহজে মেটার নয়। কথা হচ্ছে বৃহস্পতিবারের রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ানসের আইপিএল ম্যাচের শেষ ওভারে আম্পায়ারের নজর এড়িয়ে যাওয়া লসিত মালিঙ্গার নো বল নিয়ে। যে ম্যাচের পর রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি একহাত নেন আম্পায়ারকে।
ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছয় রান প্রয়োজন ছিল ব্যাঙ্গালোরের। এই অবস্থায় শেষ ওভার বল করতে নামেন মালিঙ্গা। ওভারের শেষ বল, অন্যদিকে ব্যাট হাতে শিবম দুবে। সেইসময়েই নো বল করেন মালিঙ্গা, যা দুই আম্পায়ারের একজনের চোখেও পড়ে না। ফলাফল, মুম্বইয়ের ১৮৭ রানের জবাবে ১৮১ তে থেমে যায় ব্যাঙ্গালোর।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিরাট বলেন, চোখ খোলা রাখা উচিত ছিল আম্পায়ারদের। "আমরা আইপিএল খেলছি, ক্লাব ক্রিকেট নয়। আম্পায়ারদের উচিত ছিল চোখ খুলে রাখা। লাস্ট বলে যা হলো, তা হাস্যকর। যেখানে গোটা খেলাটাই মার্জিনের ওপর নির্ভর করে, সেখানে কী হচ্ছে আমি জানি না। ওঁদের আরও অনেক সজাগ, অনেক সাবধানী হওয়া উচিত ছিল।"
বলা বাহুল্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনায় ঝড় উঠেছে। ব্রায়ান লারার মতো মহারথী পর্যন্ত সামিল হয়েছেন বিতর্কে। সুরে সুর মিলিয়েছেন কেভিন পিটারসেন এবং ফাফ দু প্লেসির মতো তারকারাও।
লারার মতে, প্রযুক্তি যখন রয়েছেই, তখন তার প্রয়োগ হওয়া উচিত। অন্যদিকে, পিটারসেন এবং সঞ্জয় মঞ্জরেকরের বক্তব্য, এই "অপরাধ" ক্ষমার অযোগ্য।
এমনকি বিজয়ী অধিনায়ক রোহিত শর্মা পর্যন্ত আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, "আমি ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক পরেই জানতে পারলাম। এসব ক্রিকেটের পক্ষে ভালো নয়। ওপরে টিভির সামনে বসে আছেন যাঁরা, তাঁদের দেখা উচিত। এর আগে বুমরার একটা বল ওয়াইড ছিল না, তাও দেওয়া হলো। খেলোয়াড়দের তো কিছু করার নেই। খুব হতাশ হলাম দেখে।"