ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সফলভাবে রান তাড়া করার সময় কোহলির আঙুলে চোট লেগেছিল। আতঙ্কে শিউরে উঠেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে জানা যায় চোট সেরকম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এতেই হাফ ছেড়ে বাঁচে সমর্থকরা। ঠিক কী হয়েছিল? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৫৫ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের ত্রাতা এদিন কোহলি। একশো রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে ম্যাচে ফেরায় কোহলি-শ্রেয়স আইয়ারের জুটি। দু-জনের পার্টনারশিপেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ১২০ রান।
এই পার্টনারশিপ চলাকালীনই ২৭তম ওভারে কেমার রোচের বাউন্সারে কোহলির ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্টিতে সজোরে আঘাত লাগে। সরাসরিই যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠেন ক্যাপ্টেন কোহলি। সাইড লাইনের ধার থেকে ছুটে যান ফিজিও। সামান্য শুশ্রুষা নিয়েই খেলা চালিয়ে যান তিনি। দলকে ৬ উইকেটের জয়ও এনে দেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ উঠলে কোহলি জানিয়ে দেন, "মনে হয়না হাড়ে চিড় ধরেছে। সেরকম কিছু ঘটলে আমি ব্যাট করে যেতে পারতাম না। আসলে নখ উড়ে গিয়েছিল।"
আরও পড়ুন
সেই সঙ্গে ক্যাপ্টেন আরও বলেন, "সৌভাগ্যবশত, আঙুলের হাড় অক্ষতই রয়েছে। যখন আঘাত পেয়েছিলাম, মনে হয়েছিল বড়সড় চোট পেয়েছি। তবে তা ঘটেনি। আঙুলের হাড় ভাঙেনি। তাই প্রথম টেস্ট খেলতে অসুবিধা নেই।" প্রথম ওয়ান ডে-তে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পরে ভারত দ্বিতীয় ওডিআই-ও জিতেছে। ৬ উইকেটে ভারতের জয়ে সবথেকে বড় অবদান স্বয়ং কোহলির। ৯৯ বলে ১১৪ রান করে নিজের ৪৩তম ওডিআই সেঞ্চুরিও পূর্ণ করে নেন।
ত্রিনিদাদের পোর্ট অফ স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গোটা টুর্নামেন্টের মতো বুধবারেও বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। খেলার শুরুতেই বাধ সাধে বৃষ্টি। এমন অবস্থায় ৩৫ ওভারে কমিয়ে আনা হয়েছিল ম্যাচ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ানরা নির্ধারিত ৩৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪০-এর বেশি তুলতে পারেনি। ক্রিস গেইল একাই ৭২ করে যান। অন্য ওপেনার এভিন লুইস ৪২ করেন। ওপেনিং পার্টনারশিপে ১১৫ উঠে যাওয়ার পরে ভাবা হয়েছিল ভারত ম্যাচ থেকে অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে।
সেই রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় স্কোর ১০০ পেরোনোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন রোহিত শর্মা (১০) ও শিখর ধাওয়ান (৩৬) এবং তিন নম্বরে নামা ঋষভ পন্থ (০)। এমন অবস্থায় চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার। দু-জনের পার্টনারশিপে ১২০ রান স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয়। ৪১ বলে ৬৫ রান করে শ্রেয়স আইয়ার আউট হয়ে যাওয়ার পরে কেদার যাদবকে (১২ বলে ১৯) সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ে পৌঁছে দেন কোহলি।