তারকারা অবসাদের শিকার হন। কেউ সেই অবসাদ সইয়েই কাজ চালিয়ে যান। কেউ আবার চরমতম পথ বেছে নেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার ঘটনা এখনো টাটকা। বিষাক্ত সেই স্মৃতি উস্কে দিয়েই এবার কোহলি বলে দিলেন, তিনিও অবসাদের শিকার হয়েছেন।
২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে ব্যাট হাতে পরপর ব্যর্থ হচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই নিজেকে কোহলি মনে করতেন বিশ্বের সবথেকে একাকীত্বে ভোগা ব্যক্তি! ইংল্যান্ড ক্রিকেটার মার্ক নিকোলাসের সঙ্গে 'নট জাস্ট ক্রিকেট' পডকাস্ট-এ নিজের সম্পর্কে এমন অজানা তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন: ভাই অর্জুন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে! আনন্দে আত্মহারা দিদি সারা, দিলেন বিশেষ বার্তা
মানসিক অবসাদের শিকার কখনও হয়েছিলেন কিনা, সেই সম্পর্কে প্রশ্ন ভেসে আসতেই কোহলি বলে দিলেন, "ঘুম থেকে ওঠার পর মনে হত রান করতে পারব না, এটা মোটেই ভালো অনুভূতি নয়। সমস্ত ব্যাটসম্যানই কখনো না কখনো নিশ্চয় এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন যখন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আর কিছুই থাকে না।"
২০১৪ সালে কোহলি ইংল্যান্ড সফরে রানের খরার মুখোমুখি হয়েছিলেন। পাঁচ টেস্টে কোহলির স্কোর ছিল যথাক্রমে ১, ৮, ২৫, ০, ৩৯, ২৮, ০, ৭, ৬ এবং ২০। ১০ ইনিংসে গড় ছিল মাত্র ১৩.৫০। তারপরের অস্ট্রেলীয় সফরেই রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন মহাতারকা। গোটা টেস্ট সিরিজে ৬৯২ রান করেন।
বিপর্যয়ের সেই ইংল্যান্ড সফরের বিষয়েই কোহলি জানিয়েছেন, "এই বিষয় কীভাবে রেহাই মিলবে, তা বুঝতে পারা যায় না। সেই সময়ে এমন অবস্থায় পড়েছিলাম, যখন আমি কোনো কিছুই করতে পারছিলাম না। আমার মনে হত, আমিই পৃথিবীর সবথেকে একাকী ব্যক্তি।"
সেই সময়ে কোহলির পাশে দাঁড়ানোর মত ব্যক্তি থাকলেও তা কাজে আসেনি। "বড় এক গ্রুপের সদস্য হয়েও একাকী মনে হতে পারে। এটা সেইসময় উপলব্ধি করি। এমন নয় যে আমাকে মানসিক সমর্থন দেওয়ার মত কেউ ছিল না। তবে সেই সময় আমার প্রয়োজন ছিল পেশাদারি সহায়তার।" বলেছেন সুপারস্টার।
পেশাদারি সাহায্য নিয়েই কোহলির আরো সংযোজন, "এমন একজনের প্রয়োজন যাঁর কাছে যে কোনো সময় গিয়ে নির্দ্বিধায় বলা যাবে- আমি কি অনুভব করছি, ঘুমোনো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সকালে ঘুম থেকে উঠতে চাইছি না- সবকিছু। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থায় কাটায়। মাসের পর মাস, কখনো কখনো সেটা গোটা ক্রিকেট মরশুম পেরিয়ে যায়। সেই কারণেই পেশাদারি সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন