নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে দেশজোড়া প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে শনিবার এ বিষয়ে মুখ খুলতে অস্বীকার করলেন ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাঁর বক্তব্য, এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সম্যক না জেনে মন্তব্য করবেন না তিনি।
Advertisment
গুয়াহাটিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিরাট বলেন, "এই ব্যাপারে দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে চাই না আমি, কারণ উভয় পক্ষেরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত রয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে, সেই তথ্যের সম্পূর্ণ অর্থ বুঝে, চারদিকে কী হচ্ছে তা বুঝে, তবেই আমি দায়িত্ব নিয়ে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব।"
ভারতের ৩১ বছর বয়সী অধিনায়ক আরও বলেন, "কারণ আপনি একরকম কথা বলতে পারেন, তারপর অন্য কেউ অন্য কথা বলতে পারেন। সুতরাং যে ব্যাপারে আমার সম্পূর্ণ জ্ঞান নেই, তাতে জড়াতে চাইব না আমি, এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিয়ে কিছু বলতেও পারব না।"
প্রসঙ্গত, গতমাসে শুরু হওয়া সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আসাম, যেখানে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে অবশ্য বিরাটের বক্তব্য, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট, এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পক্ষে গুয়াহাটির বারসাপাড়া স্টেডিয়াম "সম্পূর্ণ সুরক্ষিত"। তাঁর কথায়, "সম্পূর্ণ সুরক্ষিত শহর। আমরা রাস্তায় কোনোরকম সমস্যা দেখি নি।"
অন্যদিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে যে আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবজিৎ সৈকিয়া বলেছেন, কোনোরকম রুমাল অথবা তোয়ালে নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না দর্শকরা। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক একাধিক প্রতিবাদ মিছিলে অবাধে ব্যবহার হয়েছে ঐতিহ্যবাহী লাল-সাদা অসমিয়া গামছা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন, এবং পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মুসলিমরা।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন