ক্রিকেটার হিসেবে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। তবে বিরাট কোহলিকে ঘিরে ভারতীয় ক্রিকেটে বিতর্কও কম নয়। এই বিতর্কেরই অন্যতম হল হেড কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে তারকার মনোমালিন্য। কোহলি-কুম্বলের দ্বৈরথের ইতিহাস ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন কিছু নয়। দুজনের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে চলে যায় যে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে কুম্বলেকে জাতীয় দলের কোচিংয়ের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। এই বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন বিনোদ রাই।
নিজের বই 'নট জাস্ট আ নাইটওয়াচম্যান'-এ ক্যাগ বিষ্ফোরক ভঙ্গিতে কোহলির কীর্তি ফাঁস করেছেন। জানিয়েছেন, কোহলি নাকি ক্রিকেট কমিটি অফ এডমিনিস্ট্রেশন-এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, "কুম্বলে যেভাবে দল পরিচালনা করতেন তাতে জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটাররা তাঁর উপস্থিতিতে চাপে থাকত।"
আরও পড়ুন: একই বোলিং, একই অ্যাকশন! অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গেল বাঁ হাতি দ্বিতীয় বুমরা, দেখুন ভিডিও
এরপরেই কুম্বলেকে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি জানান, তাঁর সমস্ত কাজকর্ম দলের স্বার্থের কথা ভেবেই। তিনি আরও বলেন, তাঁর সফল ক্রিকেটীয় রেকর্ডের কারণে কয়েকজনের ব্যক্তিগত অসুয়ায় কী বলল তাঁর তুলনায় তাঁর বক্তব্যকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বিনোদ রাই লিখেছেন, "ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পরে কুম্বলের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। যেভাবে ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছিল, তাতে ও চূড়ান্ত হতাশ হয়। ওঁর মনে হচ্ছিল, ওঁর সঙ্গে মোটেই সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছিল না। অধিনায়ক কিংবা দল কী বলল, তাঁর তুলনায় ওঁকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দলের মধ্যে পেশাদারিত্ব এবং শৃঙ্খলা নিয়ে আসা কোচের দায়িত্ব। একজন সিনিয়র হিসাবে ওঁর মতামতকে সবসময় শ্রদ্ধা জানানো উচিত।"
আরও পড়ুন: বাড়ি নেই এখনও! IPL-এর টাকায় বাড়ি কিনতে চাইছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ১৯ বছরের তারকা
সেই সময় বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, শচীন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণের মত প্রাক্তনরা। ক্রিকেট এডভাইসারি কমিটির তরফেও কোহলি-কুম্বলের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলা হয়।
"উপদেষ্টা কমিটির মনে হয়েছিল, পরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতটাই যে সিওএ (ক্রিকেট কমিটি অফ এডমিনিস্ট্রেশন) তরফে দুজনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রয়োজন। পরিস্থিতি সমাধান করতে শীঘ্রই সিওএ-র লন্ডনে দুজনের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে। তিনদিন আলোচনার পরে কুম্বলের নাম হেড কোচ হিসেবে পুনর্নিয়োগে সুপারিশ করা হয়।"
শেষ পর্যন্ত অবশ্য কুম্বলেকে সরে যেতে হয়। রবি শাস্ত্রী অনিল কুম্বলের জায়গায় হেড কোচ হয়ে আসেন। ২০২১ টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ পর্যন্ত শাস্ত্রী হেড কোচ হিসেবে চালিয়ে যান।