তিনজন ওপেনার। রানের মধ্যে রয়েছে তিনজনই। তাই তিনজনকেই প্রথম একাদশে রেখে দেওয়া হল। বিরাট কোহলির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার ঝড় এবার সোশ্য়াল মিডিয়ায়। শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা ওয়ান ডে-তে ওপেন করবেন, তা জানাই ছিল। তবে টি২০ ক্রিকেটে রানের মধ্যে থাকা লোকেশ রাহুলকেও প্রথম একাদশে রেখে দল গড়েছিলেন ক্যাপ্টেন। রাহুলকে তিননম্বরে নামিয়ে বিরাট নিজের ব্যাটিং পজিশনও বদলে ফেলেছিলেন।
চারনম্বরে ব্যাটিং করলেন কোহলি। ক্রিকেটমহলের মতই হচ্ছে, দলের সেরা ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং অর্ডার কোনওভাবেই পালটানো উচিত নয়। তবে দলের কথা ভেবেই ব্যাটিং অর্ডার বদলে ফেলেছিলেন কোহলি। কোহলির এই সিদ্ধান্ত অবশ্য আংশিক সফল, আংশিক ব্যর্থ।
কারণ, শুরুতে রোহিত-ধাওয়ান জুটি ভাল শুরু দিতে পারেননি ভারতকে। স্টার্ক-কামিন্সদের সামনে রোহিত শুরুতেই ফিরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় লোকেশ রাহুল-ধাওয়ানের দ্বিতীয় উইকেটের পার্টনারশিপ। ১২১ রানের পার্টনারশিপে ভারত প্রাথমিক বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
তবে চার নম্বরে নেমে কোহলি আবার দলকে বেশিদূর টানতে পারলেন না। জাম্পার বলের শিকার আরও একবার তিনি। ১৪ বলে ১৬ রান করে জাম্পার হাতেই কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
ব্যাটিং অর্ডারে রদবদল তো বটেই, দলের ক্রিকেটার নির্বাচন নিয়েও সমালোচিত বিরাট। বোলিং বিভাগে নভদীপ সাইনিকে বসিয়ে এদিন খেলানো হচ্ছে শার্দুল ঠাকুরকে। সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা টি২০ সিরিজে নভদীপ সাইনি বেশ নজর কেড়েছিলেন। শেষ ওয়ানডে-তে ম্যাচের সেরাও হয়েছিল। তেমন বোলারকে বসিয়ে শার্দুলকে খেলানোর যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টা আগেই দল নির্বাচন করেছে ভারত। সেখানে সঞ্জু স্যামসনের জায়গা হয়নি। কোহলি সহ নির্বাচকদের একহাত নিয়েছেন সমর্থকরা। তারপরেই এই কাণ্ড!
এই দল নিয়েই ওয়াংখেড়েতে অজি-বধ হয় কিনা, সেটাই আপাতত দেখার।