একদিন পরেই ইডেনে ঐতিহাসিক টেস্ট খেলতে নামছে বিরাট কোহলি। দিন-রাতের টেস্টের আগেই অবশ্য চিন্তার কথা শুনিয়ে রাখলেন কোহলি। সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন, শিশির নিয়ে তিনি যথেষ্ট চিন্তিত। কলকাতায় ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি জানালেন, "ভারতে গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ একটাই, তা হল শিশির। শিশির এমন একটা বিষয়। যা আগে থেকে আঁচ করা যায় না। সময় অনুযায়ী শুধু খেলতে হয়।"
চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বিরাট বাহিনী। কোহলি জানাচ্ছেন, "মাঠে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ক্যাচ নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। অতিরিক্ত এজের কারণে বল খুব দ্রুত মুভ করবে। নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা প্রস্তুত।"
এদিন গোলাপি বলে অনেকক্ষণ ফিল্ডিং সারলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তারপরে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে কোহলি অকপটভাবে বলছেন, "গোলাপি বলে ফিল্ডিং সেশনটাই সবথেকে চ্যালেঞ্জের হয়ে থাকল। দর্শকদের সম্ভবত বুঝতেই পারবেন না, ফিল্ডিং করা কতটা কঠিন। অন্যান্য বলের তুলনায় গোলাপি বল একটু বেশিই ভারি। কোনও সন্দেহ নেই, বলের ওজন একই। তবে হাতে নিলে মনে হচ্ছে সামান্য ভারি।"
গোলাপি বল নিয়ে আরও চ্যালেঞ্জ কোহলির গলায়। তিনি কয়েকদিনের অনুশীলনের পরে গোলাপি বল নিয়ে জানাচ্ছেন, "লাল বলের ক্ষেত্রে দুরন্ত টেকনিকের পাশাপাশি কম্প্যাক্ট খেলা প্রয়োজন। তবে গোলাপি বলে এর সঙ্গে যোগ হয় বলের রঙের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। দৃশ্যমানতা অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করতে পারে।"
আগামী বছরেই অস্ট্রেলিয়ায় সফর করবে ভারত। সেই সিরিজে গোলাপি বলের টেস্ট দেখা যেতেই পারে। সেই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও জানাচ্ছেন, "যেখানেই খেলা হোক না কেন, তার আগে একটা অনুশীলন ম্যাচ রাখতেই হবে।" ২০১৭-১৮ সিরিজে গোলাপি বলে টেস্ট খেলতে অস্বীকার করেছিল ভারত। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, "আমরা চেয়েছিলাম গোলাপি বলের অভিজ্ঞতা পেতে। তবে হঠাৎ করেই একটা বড় সফরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এমন সময়ে পিঙ্ক বলের টেস্টের আয়োজন করা হয়েছিল যখন আমরা কেউই গোলাপি বলে অনুশীলনও করিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তো দূরের কথা।"
Read the full article in ENGLISH