Virat Kohli in Ranji Trophy: ১২ বছর পর রঞ্জিতে কোহলির প্রত্যাবর্তন ইনিংস স্থায়ী হল মাত্র ১৫ বল। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রঞ্জিতে রেলওয়ে বনাম দিল্লি ম্যাচে কোহলি করলেন মাত্র ৪ রান। কোহলিকে দেখার জন্যই স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার দর্শক।
স্টেডিয়াম ভর্তি গ্যালারির সামনে খেলতে নেমে কিং কোহলি শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। এরপরে রেলওয়ে পেসার হিমাংশু সংগোয়ান তাঁর অফস্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন। ইনকামিং ডেলিভারিতে সামনের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন। গুড লেন্থের একটু ওপরের দিকে পিচ করা বল সুইংয়ে কোহলির ব্যাট পরাস্ত করে স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন। সেই ডেলিভারির আগেও কোহলি পেসে পরাস্ত হয়েছিলেন। বর্ডার গাভাসকার ট্রফিতে যে টেকনিকের ত্রুটি বারবার প্রকট হয়েছিল, সেটাই ফুটে উঠেছে শুক্রবারও।
কোহলি আউট হতেই ছোটখাটো ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দিল্লি ব্যাটিং। পরের ওভারেই সাংগোয়ান ফিরিয়ে দেন হিমাংশুকে। ৩০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর ছিল ১০৩/৪-এ। বিরাট কোহলির ব্যাটিং দর্শনের জন্যই স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল হাজার হাজার সমর্থক।
তবে মহারথী সাত তাড়াতাড়ি আউট হতেই বিফল মনোরথ হয়ে প্যাভিলিয়ন থেকে চলে যায় উপস্থিত দর্শকদের এক বড় অংশ। সকাল ৬.৩০ থেকেই কোটলার ১৬ এবং ১৭ নম্বর গেটের কাছে জড়ো হয়েছিল দর্শকরা। তার দুঘন্টা পরে উন্মুক্ত হয় স্টেডিয়ামের দরজা।
রঞ্জি ট্রফিতে ২০১২ সালের নভেম্বরের পর দিল্লির হয়ে প্রথম খেললেন কোহলি। ২০১২-১৩ রঞ্জি ট্রফিতে গাজিয়াবাদে একটাই ম্যাচ খেলেছিলেন কোহলি। যা তার শহরের খুব কাছেই। দিল্লির হয়ে কোহলি তখন উত্তর প্রদেশের বিপক্ষে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে (গাজিয়াবাদ) মাঠে নেমেছিলেন, যেখানে তিনি দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৪ ও ৪৩ রান করেন। দিল্লি সেই ম্যাচটি ছয় উইকেটে হেরে যায়।
কোহলি ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক করেন এবং এরপর থেকে তিনি এই শীর্ষস্থানীয় লাল বলের টুর্নামেন্টে ২৩টি ম্যাচ খেলেছেন। অভিষেক ম্যাচে একমাত্র ইনিংসে ১০ রানে আউট হলেও পরবর্তী ২২ ম্যাচে পাঁচটি শতক এবং সমসংখ্যক অর্ধশতক করেন। ৩৬ ইনিংসে ১৫৭৪ রান সংগ্রহ করে তার গড় দাঁড়িয়েছে ৫০.৭৭।
রঞ্জি ট্রফিতে কোহলির সর্বোচ্চ স্কোরও দিল্লিতেই এসেছিল। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে বেঙ্গলের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করে তিনি ২৬৭ বলে ১৭৩ রান করেছিলেন।