মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিকেট মাঠে যতটাই আবেগ বিবর্জিত, বিরাট কোহলি ততটাই আবেগ প্রবণ। বাইশগজে প্যাশনেট কোহলিকে দেখতেই অভ্যস্ত সবাই। জয়ের জন্য বিরাটের মরিয়া লড়াই উঠতি ক্রিকেট তারকাদের কাছে শিক্ষণীয়।
তবে বিরাট কোহলিও কখনো কখনো হতাশায় ভোগেন। কোয়ারেন্টিনে থাকাকালীনই এবার ক্যাপ্টেন হট ভক্তদের জানালেন, জীবনের বিরলতম সেই মুহূর্তের কথা যখন তিনি অসহায় হয়ে পড়েছিলেন।
আনএকাডেমি- নামক একটি সংস্থার অনলাইন ক্লাসে এসে কোহলি জানালেন, "প্রথমদিকে যখন রাজ্য ক্রিকেট দলেও সুযোগ পেতাম না সেই সময় আমার মনে হত কিছুই হচ্ছে না ঠিকঠাক। গোটা রাত কাঁদতাম। কোচকে জিজ্ঞাসা করতাম কেন আমাকে নির্বাচন করা হচ্ছে না!"
গোটা দেশ এখন লকডাউনের আওতায়। কঠিন পরিস্থিতির সামনে বিশ্ববাসী। এমন অবস্থায় কোহলি পজিটিভ দিকও খুঁজে পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, একসঙ্গে লড়াই করার ফলে একে অন্যের জন্য সহানুভূতির যোগাযোগ গড়ে উঠছে। পুলিশ এবং চিকিৎসকরা যেভাবে সামনে থেকে লড়াই চালাচ্ছেন তাতে সাধারণ মানুষের চোখে হিরোর মর্যাদা পাচ্ছেন তাঁরা। কোহলি চাইছেন, সমস্যা মিটে যাওয়ার পরও যেন পরস্পরের প্রতি সহানুভূতির মাত্রা ধরে রাখা হয়।
কোহলি বলছিলেন, "এই সংকটের সদর্থক দিক হলো সমাজের অংশ হিসাবে আমরা একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিপ্রবণ হয়েছি। এই যুদ্ধে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই চিকিৎসক, নার্স, পুলিশদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করছি। এই সংকট পেরোনোর পরেও যেন আমরা যেভাবে থাকতে পারি।"
এই মহামারী গোটা মানব সমাজের প্রতি বার্তা। কোহলি এমনটাই জানাচ্ছেন, "জীবন অনেক বেশি অনিশ্চিত। তাই অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে যে কাজে বেশি খুশি পাওয়া যায় সেই কাজ করতে হবে। এই সংকট থেকে মেটার পর মানুষের জীবন অনেকটাই বদলে যাবে।"
বিরাটের সঙ্গেই সেই অনলাইন ক্লাসে ছিলেন অনুষ্কা শর্মা। তিনি বলেছেন, "এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া ও উচিত। কোনোকিছুই কারণ ছাড়া হয়না। যদি এই যুদ্ধের ফ্রন্ট লাইন কর্মীরা না তাহলে জীবন ধারণের জন্য সাধারণ জিনিসগুলোও আমরা পেতাম না।"
পাশাপাশি তাঁর আরো সংযোজন, "কেউই অন্যের থেকে স্পেশাল নয়। এই শিক্ষাই দিয়ে গেল এই সঙ্কট। সমাজের অংশ হিসাবে একে অন্যের সঙ্গে আমরা এখন অনেক বেশি যুক্ত।"