বিরাট কোহলির তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ত্যাগ নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার নয়। সাম্প্রতিক সময়ে কোহলির নেতৃত্ব ত্যাগ এবং ছাঁটাই বারেবারেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। গত আইপিএল চলাকালীন কোহলি প্ৰথমবার ঘোষণা করেন আরসিবি তো বটেই টি২০ বিশ্বকাপের পরে জাতীয় কুড়ি কুড়ির নেতা হিসাবেও নিজেকে সরিয়ে নেবেন।
কোহলির নেতৃত্ব জমানা পতনের সেই শুরু। তারপরে ওয়ানডে থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে কোহলি বিতর্কের ঢেউয়ে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন গোটা দেশের ক্রিকেটকে। এরপরে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ হারের পর টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসাবেও শেষমেশ সরে দাঁড়ান মহাতারকা।
যাইহোক, বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুণ সিং ধুমল জানিয়ে দিয়েছেন, নেতৃত্ব ছাড়া পুরোটাই বিরাটের সিদ্ধান্ত ছিল। তিনিই অধিনায়ক হিসেবে আর চালিয়ে যেতে চাননি।
সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে অরুণ সিং ধুমল জানিয়েছেন, "নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি পুরোটাই কোহলির সিদ্ধান্ত। আর ক্যাপ্টেনশিপ করতে চাই না। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেয় ও। বিশ্বকাপের পরে নেতৃত্ব ত্যাগ করা হতে পারে। এটা ও মনে করে থাকতে পারে। এটা অবশ্য তাদের ভাবনা চিন্তা। ও অধিনায়কত্ব থেকে সরতে চেয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানিয়েছি। বিরাটকে স্বমেজাজে দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি।"
এখানেই না থেমে অরুণ ধুমল আরও জানাচ্ছেন, "বিরাটের বিষয়ে আলোচনা উঠলে বলতেই হয়, ও কিন্তু মোটেই সাধারণ ক্রিকেটার নন। ও গ্রেটদের সঙ্গে একই সারিতে। ভারতীয় ক্রিকেটে ওর অবদান অতুলনীয়। মিডিয়ায় এত আলোচনা সত্ত্বেও এটা কিন্তু মোটেই আমাদের ওপর কোনও প্রভাব ফেলে না। আমরা চাই ও দ্রুত ফর্মে ফিরে আসুক। দল নির্বাচনের ভার পুরোটাই নির্বাচকদের ওপরে। ওঁরা নিজেদের পরিকল্পনা মত দল সাজাবে।"
প্রায় তিন বছর ধরে রানের মধ্যে নেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষবার ইডেনে আন্তর্জাতিক শতরান করেছিলেন কোহলি। তারপরে কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। এখনও শতরানের দেখা পাননি। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব সম্পন্ন ইনিংস খেলতেও পারছেন না তিনি।
এমন অবস্থায় বাদ পড়ার দাবিও উঠে গিয়েছে কোহলিকে। আগামী টি২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে কোহলি শেষমেশ জায়গা পান কিনা, তা নিয়ে ক্রিকেট মহলের ভালোই আগ্রহ রয়েছে।