ভারত-বাংলাদেশ ম্য়াচের পর থেকেই শিরোনামে একজন। আজ গোটা দেশের ক্রিকেট ফ্য়ানেদের কাছে পরিচিত নাম হয়ে গিয়েছেন তিনি। বলা বাহুল্য দেশের বাইরেও তাঁকে সবাই চিনি নিচ্ছেন। কথা বলছিলাম চারুলতা প্য়াটেলকে নিয়ে। ওই ম্য়াচের পর ভারতের বাকি ম্য়াচগুলোতেও থাকার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কথাটা জানিয়ে ছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। কিং তাঁর কথা রাখলেন। চারুলতাকে দিলেন বাকি ম্য়াচের টিকিটও।
বার্মিংহ্য়ামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বছর ৮৭-র এই অশিতীপর বৃদ্ধা ফ্যানই যাবতীয় লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন। গলায় তেরঙা স্কার্ফ ঝুলিয়ে আর গালে ভারতের পতাকা আঁকিয়ে গ্য়ালারিতে বিরাটদের জন্য় গলা ফাটাচ্ছিলেন তিনি। বাঁশি বাজিয়েই বিরাটদের তাতাচ্ছিলেন তিনি। ম্য়াচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের জায়েন্ট স্ক্রিনে আর টেলিভিশন স্ক্রিনে বারবার তাঁর মুখ ভেসে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের বাকি ম্য়াচে চারুলতার টিকিট স্পনসর করবেন মহিন্দ্রা গোষ্ঠীর চেয়ারম্য়ান
এরপরেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যান চারুলতা। নেটিজেনদের মনে আলাদা জায়গা করে নেন প্রাণশক্তিতে ভরপুর এই অশিতীপর বৃদ্ধা। এখানেই শেষ নয় ম্য়াচের পর বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা তাঁর সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছুটা সময় কাটান। চারুলতার থেকে আশীর্বাদ নেন ভারতের ক্য়াপ্টেন আর ভাইস ক্য়াপ্টেন। বিরাট-রোহিতে বুকে জড়িয়ে গালে স্নেহভরা চুম্বন দেন চারুলতা।
তখনই চারুলতার সঙ্গে বিরাটের ঠিক কী কথা হয়েছিল, সেটাই টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন চারুলতার নাতনি অঞ্জলি। তিনি জানান তাঁর ঠাকুমাকে বিরাট বলেছিলেন, "দয়া করে আপনি আমাদের বাকি ম্য়াচগুলোও দেখতে আসুন," চারুলতা উত্তরে জানান, "বাবা, আমার কাছে টিকিট নেই।" তখন কোহলি বলেন, "চিন্তা করবেন না। আমি টিকিটের ব্য়বস্থা করে দেব।" চারুলতাই জানিয়েছেন যে, কোহলি তাঁর প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। আগামী ৬ জুলাই শ্রীলঙ্কা ম্য়াচের পাশাপাশি সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্য়াচের টিকিটও বিরাট দিয়ে দিয়েছেন। অঞ্জলি জানিয়েছেন, তিনি আরও কয়েক'টা টিকিটের কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিরাট সেগুলোর ব্য়বস্থা করতে পারেননি।