সবাই জানে। নতুন কিছু নয়। সবাই জানে, ক্রিকেট মাঠে বিরাট কোহলির ডাকনাম 'চিকু'। কিন্তু জানেন কি, এই ডাকনামটা এল কোত্থেকে? অন্য সব কিছু ছেড়ে 'চিকু' কেন?
কোহলি তখন সবে দিল্লির রঞ্জি টিমে ঢুকেছেন। বয়স কুড়ি ছুঁইছুঁই। দিল্লির টিমে তখন তাবড় তাবড় নাম। বিরাট সেই তারকাখচিত টিমে নেহাতই জুনিয়র। দশটা ম্যাচও খেলা হয়নি তখনও।
একদিন হল কী, টিম হোটেলে ফেরার পর কোহলি চলে গেলেন একটা বেশ নামকরা সেলুনে। সেলুনে কেন? না, বোন বলেছে, "তোর চুল পড়ে যাচ্ছে, একটা নতুন হেয়ার স্টাইল দরকার।" তা কোহলি সেলুনে গিয়ে একটা বাহারি ছাঁট বাগিয়ে ফিরলেন। এবং ফিরেই টিমের সতীর্থদের থেকে মতামত চাওয়া শুরু করলেন, "কেমন লাগছে এই নতুন হেয়ার স্টাইল?"
দিল্লি টিমের অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ তখন ছিলেন অজিত চৌধুরী। আর বিরাটও তখন ছিলেন গোলগাল, এখনকার নির্মেদ টানটান চেহারার সম্পূর্ণ উল্টো। বিরাটের চুলের ছাঁট দেখে মজা করে অজিত বলে ফেললেন, "আরে, তোকে তো ঠিক একটা 'চিকু'-র মতো লাগছে।" সপেদা ফলকে হিন্দিতে বলে 'চিকু'। রসিকতা করেই বিরাটের নতুন চেহারাকে 'সপেদা' বা 'চিকু'-র সঙ্গে তুলনা। এবং টিমে সঙ্গে সঙ্গে সুপারহিট! টিম বিরাটকে ডাকতে শুরু করল 'চিকু' বলে। কোহলিও স্পোর্টিংলি নিলেন ব্যাপারটা। সেই থেকে 'চিকু' নামটাই থেকে গেল। এখনকার ভারতীয় টিমে ধোনির মতো যাঁরা বিরাটের সিনিয়র, তাঁরা কোহলিকে 'চিকু' নামেই ডাকেন।
আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই 'চিকু'-র নেতৃত্বেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে টিম ইন্ডিয়া। বেস্ট অফ লাক ইন্ডিয়া!