Gautam Gambhir and Virat Kohli: অতীতের সমস্ত তিক্ত স্মৃতি ভুলে হেড কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে কাজ করবেন, এমনটাই জানিয়ে দিলেন এবার বিরাট কোহলি। গম্ভীরকে হেড কোচ হিসেবে নিয়োগের পর থেকেই বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়ন কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। তবে সর্বভারতীয় একাধিক প্রচারমাধ্যমে বলা হয়েছে, কোহকি নাকি নিজেই বোর্ডকে আশ্বস্ত করেছেন গম্ভীরের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সমস্ত অধ্যায় ভুলে নতুন করে শুরু করতে প্রস্তুত তিনি।
গম্ভীরের সঙ্গে কোহলির সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ নয়। ২০১৬-য় গম্ভীর কোহলির নেতৃত্বে কেরিয়ারের শেষবেলায় কামব্যাক করেছিলেন। তবে মাঠে একাধিকবার ঝামেলায় জড়িয়েছেন দুই তারকা। ২০১৪-য় গম্ভীর কেকেআরের নেতা হিসেবে মাঠেই কোহলির সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়ান। ২০২২ দেখে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কোহলি আরসিবির জার্সিতে থাকলেও গম্ভীর বছর দেড়েক আগে ছিলেন লখনৌয়ের মেন্টর। এলএসজি মেন্টরের সঙ্গে কোহলির সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্ম হয়। গম্ভীর বারবার এর মধ্যে মিডিয়ায় সুপারস্টার সংস্কৃতির বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন। পরোক্ষে নিশানায় ছিলেন কোহলি-ধোনি।
তবে গত বছর অনভিপ্রেত এই সমস্ত ঘটনায় প্রলেপ পড়ে। গম্ভীর মেন্টর হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জোড়া আইপিএল জয়ী কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। আর আরসিবি ম্যাচেই পরস্পরকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। সম্প্রীতির বার্তা দেন দুই দিল্লির মহাতারকা।
দুজনের সম্পর্ক যতই মসৃণ হয়ে আসুক না কেন, বোর্ড গম্ভীরকে নিয়োগের জন্য কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি। তাই কোহলিকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই গম্ভীরের নাম চূড়ান্ত করেছিল বিসিসিআই।
হিন্দুস্তান টাইমস-কে বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছেন, “জাতীয় দলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার অনেক সুযোগ পাবেন গম্ভীর-কোহলি দুজনেই। তবে এই মুহূর্তে গম্ভীরকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি বোর্ড। অনেক প্রতিশ্রুতিমান তারকারা উঠে আসছে। তাঁদের কথা ভেবেই বৃহত্তর স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, কোহলির সঙ্গে আলোচনা না করলেও বোর্ডের তরফে টিম ইন্ডিয়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তারকাকে বাজিয়ে দেখা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়াও। আইপিএল এবং তার আগের দুঃসময় কাটিয়ে হার্দিক বিশ্বকাপে স্বমহিমায় ফিরেছেন। তাঁকে রোহিত-শর্মা পরবর্তী পর্যায়ে টি২০-র অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে। হার্দিকের তরফে গম্ভীরের জন্য সবুজ সঙ্কেতই গিয়েছে বোর্ডের কাছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "গম্ভীরের সঙ্গে কাজ করতে কোহলির ব্যক্তিগত স্তরে কোনও সমস্যা নেই। এবং এই বিষয়টি তিনি বোর্ডের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে জানিয়েও দিয়েছেন। আইপিএলে একাধিকবার দুই তারকা যে তিক্ত অধ্যায়ের মুখে পড়েন, সেই ঘটনা বর্তমান সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না, এমনটাই নাকি কোহলি জানিয়েছেন জয় শাহদের। বার্বাডোজে বিশ্বকাপ ফাইনালের পরেই এই নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল। কোহলি-গম্ভীর দুজনেই দিল্লির। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে দেশের স্বার্থে একযোগে কাজ করতে অসুবিধা হবে না।"