টি২০ বিশ্বকাপে ধোনির নাম মেন্টর হিসাবে ঘোষণা হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই আনন্দের হিল্লোল বয়ে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। তবে সেই আনন্দের রেশ বেশিদিন থাকেনি। সুপার-১২ থেকে ভারতের ছিটকে যাওয়া আটকাতে পারেননি মেন্টর ধোনিও। আর বিশ্বকাপেই শেষবার দেখা গিয়েছিল শাস্ত্রী-কোহলি জুটিকে।
কোচ হিসাবে টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্তই মেয়াদ ছিল কোচ শাস্ত্রীর। কোহলি আবার আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কুড়ি কুড়ি ফরম্যাট থেকে জাতীয় দলে আর অধিনায়কত্ব করবেন না।
বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহ পরে জানিয়ে দেন কেন ধোনিকে মেন্টর হিসাবে নিয়োগ করা হয়। দুজনে জানান, আইসিসির মেগা টুর্নামেন্টে ধোনির সাফল্য প্রশ্নাতীত। এমএসডি-র অগাধ অভিজ্ঞতা, জ্ঞান জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে। জানান সৌরভ-শাহ।
আরও পড়ুন: বেনজির সঙ্কটে গোটা দেশ, আইপিএল নিয়ে মহা বৈঠকের আয়োজন সৌরভদের
তবে জাতীয় দলে প্রাক্তন পেসার অতুল ওয়াসন আবার বড়সড় বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছেন, দলে কোহলি-শাস্ত্রী জুটির দাপটের পাল্টা হিসাবে নিয়োগ করা হয় ধোনিকে।
সিএনএন নিউজ-১৮'এর এক প্যানেল ডিসকাসনে অতুল ওয়াসন জানান, "কোহলি-শাস্ত্রী জুটি নিজেদের ইচ্ছামত যাঁকে খুশি খেলাচ্ছিল, দল গঠন করছিল। গোটা দলের রাশই ছিল দুজনের হাতে। এমনটাই সকলে ভাবছিল। ভারসাম্য আনার জন্য ধোনিকে নিয়ে আসা হয়েছিল।"
"শাস্ত্রী-কোহলি ভারতীয় ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। তাই বোর্ড এমন কাউকে আনতে চেয়েছিল যাঁর ইনপুট দলের কাজে আসে। সেইসঙ্গে দলে ভারসাম্যও বজায় থাকে।"
আরও পড়ুন: অভিষেকের আগেই টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে মাঠে নামেন সৌরভ! অনেকেরই অজানা এই কাহিনী
কোহলিকে সরিয়ে ওয়ানডে ক্যাপ্টেন হিসাবে রোহিতের নাম ঘোষণা করার মধ্যেও বোর্ডের কিছু ভুল দেখছেন না ওয়াসন। বলেছেন, "ভারতে কেউ যদি বেশিদিন ক্রিকেট খেলে, সে নিজেকে ঈশ্বরের সমতুল্য ভাবতে থাকে। তাঁরা সর্বদা বিশেষ ট্রিটমেন্ট প্রত্যাশা করে সকলের কাছ থেকে। এই সিস্টেমটাই আসলে বদলানো উচিত।"
"বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক যদি খারাপ দিকে পৌঁছয়, আর সেক্ষেত্রে বোর্ডের হাতে যদি আরও ভাল অপশন থাকে, তাহলে সংশ্লিস্ট ক্রিকেটারের খারাপ লাগার কোনও কারণ নেই। বোর্ডের কাছ থেকে সেক্ষেত্রে বেশি কিছু প্রত্যাশা করাই উচিত নয়। থামার ইঙ্গিত পেলে একজন মানুষ হিসাবে তা গ্রহণ করা উচিত।" বলেছেন ওয়াসন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন