কঠোর পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, আত্মত্যাগের প্রতিমূর্তি ধরা হয় বিরাট কোহলিকে। সেই ত্যাগের অন্যতম খাওয়া-দাওয়ায় বড়সড় পরিবর্তন। ফিটনেস অন্য লেভেলে পৌঁছে নেওয়ার জন্য ডায়েটই সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন তিনি। প্রিয় বিরিয়ানি-তে ফুলস্টপ ফেলেছেন বহুদিন আগে। নিরামিশাষী হয়ে গিয়েছেন বিরাট কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেগান হওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
তবে কোহলি এখনও জাঙ্ক ফুড পছন্দ করেন। ডায়েটে মিস করেন মশলাদার স্ট্রিট ফুড! এমনটাই তিনি জানালেন পুণেতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক টি২০-তে খেলতে নামার আগে। বুধবারে দলের পেসার থেকে স্পিনারদের মহড়া নিলেন নেট অনুশীলনে।
তবে কোহলি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন, ক্রিজে বোলারদের দেখলে তাঁর ছোলা বাটুরে-র কথা মনে পড়ে যায়। বোলারদের ছোলা বাটুরে মনে করে গলাধঃকরণ করেন তিনি। দিল্লিতে জন্ম। তাই রাজধানী শহরের রাস্তার মশলাদার খাবার তিনি পছন্দ করবেন না, তা কখনও হতে পারে।
বিরাট কোহলি টুইটারে নিজের নেট- অনুশীলনের ছবি শেয়ার করলেন বুধবার। সেই ছবিতে তাঁর মশলাদার ক্যাপশন, "বোলারের হাত থেকে ছিটকে আসা বল এবং চিট মিল হিসেবে ছোলা বাটুরে একই ধরণের ফোকাস দাবি করে।"
ফিটনেস ‘ফ্রিক’ হিসেবে কোহলির ‘দুর্নাম’ রয়েছে। জাতীয় দলের সতীর্থদের ফিটনেস-বিপ্লবের পিছনেও কোহলি ‘দায়ী’। নিজের ফিটনেসের সঙ্গে কোনও ভাবেই আপোষ করতে রাজি নন তিনি। সেখানেই মাছ-মাংস-ডিম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন সুপারস্টার ক্রিকেটার।
বিরিয়ানির ভক্ত ছিলেন একসময়। উত্তর ভারতের আর পাঁচটা যুবক যেমন হন আর কী! কিন্তু এখন? নৈব নৈব চ! বিরিয়ানি তো দূরের কথা সামান্য ‘মছলি’ও ছুঁয়ে দেখেন না তিনি। বিরাট কোহলি এখন প্রাউড ‘ভেগান’! প্রাণীজ প্রোটিন থেকে হাজার মাইল দূরে তাঁর বসত।
তবে তাঁর মন যে এখনও ছোলা বাটুরের জন্য 'কাঁদে', তা পরিষ্কার ম্যাচের আগেই।