/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/07/steyn-gambhir.jpg)
Dale Steyn on Gautam Gambhir Coaching: গম্ভীরের কোচিং স্টাইল নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করলেন স্টেইন (টুইটার)
Dale Steyn on Team India dressing room under Gautam Gambhir coaching: লতি সপ্তাহে গৌতম গম্ভীরকে হেড কোচ ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। কেকেআরের মেন্টর জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার পরই কোহলির সঙ্গে তাঁর ড্রেসিংরুমের সম্পর্ক কেমন হতে চলেছে তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।
গম্ভীরের কোচিং মেথড নিয়েও তুঙ্গে আলোচনা। দক্ষিণ আফ্রিকান গ্রেট ডেল স্টেইন সরাসরি গম্ভীরের কোচিং নিয়ে মতামত জানিয়েছেন। স্টার স্পোর্টস-এ নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্টেইন বলে দিয়েছেন, তারকা প্রথায় বিশ্বাস করেন না গম্ভীর। তাই কোহলিদের মত সিনিয়র তারকাদের মতামত গুরুত্ব হারাতে পারে টিম ইন্ডিয়া ড্রেসিংরুমে।
প্রোটিয়াজ স্পিডস্টার সাফ বলে দিয়েছেন, "আমি গৌতম গম্ভীরের বড় ভক্ত। ওঁর আগ্রাসন আমার দারুণ লাগে। ও খুব কম সংখ্যক ভারতীয়দের একজন যে পাল্টা দেয়। এটা বেশ পছন্দের আমার। এই আগ্রাসন ওর কোহলিদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাবে। কোহলিদের মত সিনিয়ররা হয়ত দলের সিদ্ধান্তে খুব বেশি গুরুত্ব পাবে না। তবে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বক্রিকেটেও এরকম আগ্রাসী কোচের প্রয়োজন। যাঁরা একটু শক্তপোক্তভাবে ক্রিকেটটা খেলেন।"
গম্ভীরের সঙ্গে কোহলির সম্পর্ক খুব একটা মসৃণ নয়। ২০১৬-য় গম্ভীর কোহলির নেতৃত্বে কেরিয়ারের শেষবেলায় কামব্যাক করেছিলেন। তবে মাঠে একাধিকবার ঝামেলায় জড়িয়েছেন দুই তারকা। ২০১৪-য় গম্ভীর কেকেআরের নেতা হিসেবে মাঠেই কোহলির সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়ান। ২০২২ দেখে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কোহলি আরসিবির জার্সিতে থাকলেও গম্ভীর বছর দেড়েক আগে ছিলেন লখনৌয়ের মেন্টর। এলএসজি মেন্টরের সঙ্গে কোহলির সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্ম হয়। গম্ভীর বারবার এর মধ্যে মিডিয়ায় সুপারস্টার সংস্কৃতির বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন। পরোক্ষে নিশানায় ছিলেন কোহলি-ধোনি।
তবে গত বছর অনভিপ্রেত এই সমস্ত ঘটনায় প্রলেপ পড়ে। গম্ভীর মেন্টর হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন জোড়া আইপিএল জয়ী কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। আর আরসিবি ম্যাচেই পরস্পরকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায়। সম্প্রীতির বার্তা দেন দুই দিল্লির মহাতারকা।
দুজনের সম্পর্ক ইদানিংকালে বেশ মসৃণ হয়ে উঠলেও গৌতম গম্ভীরকে হেড কোচ নেওয়ার সময় কোহলির মতামত নেওয়া হয়নি বোর্ডের তরফ থেকে। এমনটাই জানানো হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদনে। কোনও ঝুঁকি না নিয়েই কোহলিকে অন্ধকারে রেখে গম্ভীরকে নিয়োগ করে বোর্ড।
হেড কোচ হয়ে আসার পর কোহলিদের কি সত্যি সত্যি একঘরে করে দেবেন বিখ্যাত জিজি, সময়ই উত্তর দেবে।