প্রথম ম্যাচে ধাক্কা। সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারত স্কোরবোর্ডে তুলল পাহাড়প্রমাণ ৩৪০ রান। ব্য়াট হাতে রান পেলেন কোহলি (৭৮), ধাওয়ানরা (৯৬) এবং কেএল রাহুলরা (৮০)।
প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই হয়েছিল শুরুতে। টসে হেরে বসেছিলেন কোহলি শুরুতেই। ফিঞ্চ টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে দুটো পরিবর্তন ঘটিয়ে এদিন খেলতে নামছে ভারত। কনকাশনে ছিটকে যাওয়া ঋষভ পন্থের বদলে প্রথম একাদশে এদিন রাখা হয় মণীশ পাণ্ডেকে। পাশাপাশি শার্দুল ঠাকুরকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে নভদীপ সাইনিকে।
আগের ম্যাচে ব্যাটিং পজিশন নিয়ে হারাকিরি করেছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। সেই ভুল শুধরে নিজের তিন নম্বরেই ব্যাট করতে নামলেন কিং কোহলি। ৭৬ বলে ঝকঝকে ৭৮ রানের ইনিংসও খেললেন তিনি। অন্যদিকে, ৫ নম্বরে ব্য়াট করতে রান পেলেন রাহুলও (৫২ বলে ৮০)। তবে তার আগে ম্যাচের রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা।
প্রথম উইকেটের জুটিতেই ৮১ রান তুলে ধাওয়ান-রোহিতরা ভাল শুরুয়াত উপহার দেন। রোহিত এরপরে লেগবিফোর হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও বিরাট-ধাওয়ান সেই জুটিকেই টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুই তারকা আরও যোগ করেন ১০৩ রান। শ্রেয়স আইয়ার এদিনও ব্যর্থ। ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
শ্রেয়স ফিরে যাওয়ার পরে কোহলি ইনিংসের হাল ধরেন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে। চতুর্থ উইকেটে বিরাট-রাহুল জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় আরও ৭৮ রান। নিশ্চিত শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন কোহলি। তবে কোহলি-ঘাতক এদিনই জাম্পা। জাম্পার বলে ছক্কা হাকাতে গিয়েছিলেন কোহলি। স্টার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় ঘটে তাঁর। এই নিয়ে ওয়ানডেতে কোহলিকে সাতবার আউট করলেন অজি স্পিনার।
শেষদিকে লোকেশ রাহুল জাদেজার সঙ্গে স্কোর নিয়ে যান ৩৪০-এ। এদিকে, পিচের মধ্য়ে দিয়ে দৌঁড়নোর জন্য ভারতের ৫ রান কেটে নেওয়া হল।