দক্ষিণ আফ্রিকার পর ইংল্যান্ডের মাটিতেও ভারতের বিপর্যয়। দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কর মনে করছেন যে, টেস্ট ক্যাপ্টেন হিসেবে এখনও পরিণত নন বিরাট কোহলি। মাঠে তাঁর অনভিজ্ঞতা কার্যত দৃশ্যমান। কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের মতে বিরাটের এখনও অনেক কিছু শেখার আছে।
‘ইন্ডিয়া টুডে’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কর বললেন, “ বিরাটকে এখনও অনেক কিছু শিখতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার পর এবার ইংল্যান্ডেও দেখলাম যে, বিরাটের ফিল্ডিং আর বোলিং পরিবর্তন ঠিক নেই। আর এগুলোই বিরাট ফারাক গড়ে দেয়। দু’বছর (চার বছর) হয়ে গেল ও ক্যাপ্টেনসির দায়িত্বে। কিন্তু ওর অভিজ্ঞতার অভাব বোঝা যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: সাংবাদিকের কোন প্রশ্নে মেজাজ হারালেন কোহলি!
অন্যদিকে রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন যে, গত ১৫ বছরে এটাই সফররত সেরা ভারতীয় দল। তিনি জানিয়েছিলেন,“ইংল্যান্ড থেকে নিয়ে যাওয়ার কিছু নেই আমাদের। দলের প্রচেষ্টাই ছিল ভাল একটা সফরের। যেখানে লড়াই করে জিততে পারব। বিগত তিন বছরে আমরা বিদেশের মাটিতে ন’টা ম্যাচ ও তিনটে সিরিজ জিতেছি। বিগত ১৫-২০ বছরে আরও কোনও ভারতীয় দল আমার চোখে পড়েনি, যারা এত কম সময় এরকম সাফল্য পেয়েছে। যদিও সেইসব সিরিজে দুর্দান্ত সব প্লেয়াররাই ছিল।” কোহলিও সহমত হয়েছিলেন বিষয়টায়।
ওভালে বিদায়ী টেস্টের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। আর এই ইস্যুতে সাংবাদিকের প্রশ্নে মেজাজও হারিয়েছিলেন তিনি।কোহলির থেকে সেই সাংবাদিক জানতে চেয়েছেলিন, “আচ্ছা বলা হচ্ছে যে, শেষ ১৫ বছরে এটা সেরা দল। এই তকমাটা কি কোথাও আপনাদের বাড়তি চাপে রেখেছে? “কোহলি রীতিমতো রাগান্বিত মুখে বলেন, “আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এটাই সেরা দল। আর কেন নয়?’’ সাংবাদিক কোহলির উত্তরের রেশ ধরেই জানতে চান, “১৫ বছরে এটাই সেরা দল?’’ কোহলি এবার সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করেন। জানতে চান, “আপনার কী মনে হয়?” সাংবাদিকের উত্তর ছিল, “আমি নিশ্চিত নই।” এরপর কোহলি বলেন, “আপনি নিশ্চিন নন, তাই তো! এটা আপনার মতামত। ধন্যবাদ।”
লিটলমাস্টার বলেছেন সাংবাদিকের সেই প্রশ্ন যথাযথ। কিন্তু প্রশ্ন করার সময়টা ভুল ছিল। গাভাস্করের সংযোজন, “সিরিজ খোয়ানোয় নিশ্চই আহত ছিল বিরাট। আর সেসময় সাংবাদিকের প্রশ্নটা করাটা ঠিক হয়নি। আমার মনে হয় না, কোনও অধিনায়কই সাংবাদিককে বলবে যে, আপনি ঠিক, আমরা ভুল।” শাস্ত্রীকেও সমর্থন করেছেন গাভাস্কর। তাঁর মতে শাস্ত্রী দলের মনোবল বাড়াতেই ওই কথা বলেছিলেন। এছাড়া ভারতীয় কোচের আরও কোনও অভিসন্ধি থাকতে পারে না বলেই মত গাভাস্করের।