স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফটের মত প্লেয়াররা বাদ যাওয়াতেই টিমের এই হাল। ১৩৭ রানে ভারতের কাছে দুরমুশ হওয়ার পর এ কথা বললেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন। ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পেইন বলেন, ”এটা অনভিজ্ঞতা। এটা চাপ। এ টিমের সদস্যরা যে ভারতীয় বোলিং খেলেছে তার মধ্যে এটাই সেরা ভারতীয় বোলিং। এটা পরিষ্কার যে বিশ্বের সেরা দু তিনজন প্লেয়ারকে যদি কোনও টিমের লাইন আপ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সে দল মাঝেমাঝে সমস্যায় পড়বে এবং তাদের পারফরম্যান্সেও ধারাবাহিকতার অভাব ঘটবে। আমরা তাই দেখছি।”
এখানেই থেমে থাকেননি পেইন। বলেছেন, “যদি আপনারা ভারতীয় দল থেকে পূজারা এবং বিরাটকে বাদ দিয়ে দেন, তাহলেও আমার ধারণা কথাবার্তাটা এরকমই হবে।“
আরও পড়ুন, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস ভারতীয় দলের
তিনি আরও বলেন, “সকলের কাছেই বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং এবং হতাশারও বটে। তবে ভাল ব্যাপার হল, আমাদের এরকম হাই প্রেশার সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করার মত প্লেয়ার রয়েছে, এবং তারা খুব তাড়তাড়িই দলে ফিরবে। তখনই গোটা পরিস্থিতির ব্যাপক বদল হবে।“
ভারতীয় বোলিং আক্রমণের ঝাঁঝ যে অস্ট্রেলিয়ার টপ সিক্স সামলাতে পারেনি, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন টিম পেইন। তবে তার কারণ হিসেবে অনভজ্ঞিতাকে ঢাল করেছেন তিনি। পেইন বলেছেন, ”যদি শুরুর ছজন অনভিজ্ঞ হয়, তাহলে উঁচু দরের বোলিংয়ের সামনে এমনটা ঘটাই স্বাভাবিক।”
এদিকে বিরাট কোহলি বলেছেন, এই জয়ে তিনি খুশি, কিন্তু অবাক নন। তিনি বলেন, ”আমাদের নিয়ে যাই বলা হোক না কেন আর যে ভুলই আমরা করে থাকি না কেন, আমাদের দলে যা প্রতিভা রয়েছে এবং যে মানসিকতা রয়েছে, তাতে আমরা সর্বদাই বিশ্বাস করতাম যে আমরা এ জিনিস করতে পারব। ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এই জয় বোলারদের জন্য স্পেশাল, কারণ এই পিচে ওদের অতিরিক্ত এফর্ট দিতে হয়েছে।”
যশপ্রীত বুমরাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কোহলি। বলেছেন, পার্থের মত পিচে বুমরার বল খেলতে চাইতেন না তিনি। ”ও পিচের দিকে দেখে কিন্তু কত পরিশ্রম করতে হবে সে নিয়ে বাবে না। ও উইকেট তোলার কথা ভাবে। ও কেরিয়ারের শুরুতেই যা বল করছে তাতে বিশ্বের ব্যাটসম্যানদের ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। পার্থের মত পিচে আমি নিজেই ওর বেলিংয়ের মুখোমুখি হতে চাইব না।
সিডনির চতুর্থ টেস্ট জিতে এখন মুখ বাঁচাতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া। আর বিরাটদের পাখির চোখ, বিদেশে সিরিজ জয়। সিডনি টেস্ট না হারলেই চলবে বটে, তবে ওঁরা জিততেই চাইছেন।