বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ক্রীড়াবিদদের অন্যতম তিনি। তবে সবসময় পরিস্থিতি এরকম ছিল না। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা কোহলি অর্থের অভাবে এক-একসময় অনেক অদ্ভুত কান্ড করেছেন। তেমনই এক ঘটনা এবার সামনে এল।
শৈশবে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেই যাতায়াত করতেন তিনি। এমনই একবার কোহলি ধরা পড়ে গিয়েছিলেন টিকিট না কেটেই বাসে যাতায়াত করার সময়। সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম-আলোচনায় কোহলি এমনই এক ঘটনা শেয়ার করলেন। জানালেন টাকা বাঁচানোর জন্য বাসে এমনকি সাইকেলেও ট্রেনিং করতে যেতেন।
আরও পড়ুন: ভারতের জয়ী একাদশেও ঘটছে বিরাট বদল! এই তারকা হয়ত বাদ পড়তে পারেন
কোহলি জানান, "বাসে যাতায়াত করতে হত আমাকে। বাসে চড়ার জন্য একাডেমি পাস ছিল। তাছাড়া সাইকেল নিয়েও যেতাম। পরে একটা ডাফেল ব্যাগ কিনেছিলাম, যার দুদিকে দুটো ব্যাট ক্যারি করা যেত। বাবা আমাকে বিভিন্ন ম্যাচে নিয়ে যেতেন। সমস্যা হত যখন আমার কোটলায় অনুশীলন হত। বাবা সেই সময় হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করতেন।"
এরপরেই সুনীল ছেত্রী জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কখনও টিকিট ছাড়াই বাসে যাতায়াত করতেন কিনা। কোহলি জানান তিনি কখনই এমনটা করতে পারেননি। কারণ কন্ডাক্টরকে বোঝানো মুশকিল হত। "কখনই এমনটা করতে পারিনি। আমার মুখ দেখলে লোকেরা আমাকে নিষ্পাপ ধরে নিত। যদি আমি ওদের বলতাম আমি একজন স্টাফ মেম্বার, তাহলে ধরা পড়ে যেতাম। স্টাফ মেম্বারদের আলাদা এক ব্যক্তিত্ব থাকে, যা আমার ছিল না।"
এমনটা জানিয়ে কোহলি আরও বলেছেন, "একবার কন্ডাক্টরকে বলেছিলাম আমি স্টাফ মেম্বার। তবে পাল্টা কন্ডাক্টর এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, আমি নেমে যেতে বাধ্য হই। তবে অনেক ছেলেকেই দেখতাম এরকম করতে। ওদের আলাদা রকমের আত্মবিশ্বাস ছিল।"
সুনীল ছেত্রী জানান, তিনি একাধিকবার টিকিট ছাড়াই যাতায়াত করতেন। ধরা পরে জরিমানাও দিয়েছেন। "ডিটিসি বাসে টিকিট ছাড়াই যাতায়াত করতাম। সেই সময় ফাইন ছিল ২০ টাকা। সেই সময় বাড়ি থেকে ২০ টাকা হাতখরচ পেতাম। ভাবতাম, কখনও যদি ধরা পড়ি, তখন সেই টাকাতে জরিমানা দেব। বেশ কয়েকবার ফ্রি-তে যাতায়াত করার পরে ধরা পড়ি। সেই সময় ফাইন দিতে হয়েছিল। পরে জরিমানার অঙ্ক দাঁড়ায় ৫০ টাকায়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন