২৪ ঘন্টা আগেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো শতকসেরা ফুটবলারের সম্মান পেয়েছেন। এবার ক্রিকেটে দশকসেরা সম্মান পেলেন তাঁকেই আদর্শ ক্রীড়াবিদ মেনে চলা বিরাট কোহলি। আইসিসির তরফে সোমবার বিজয়ীদের নামের যে তালিকা ঘোষণা করা হল তাতে কোহলি জোড়া পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন- আইসিসির দশক শ্রেষ্ঠ পুরুষ ক্রিকেটার এবং ওডিআইয়ের দশক সেরা ক্রিকেটার। এমএস ধোনি আবার পেলেন আইসিসি স্পিরিট অফ ক্রিকেট পুরস্কার।
একদিনের ক্রিকেট ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবে দুরন্ত পারফরম্যান্স করার পর কোহলি ওডিআইয়ের দশকের সেরা ক্রিকেটার-এর শিরোপা পেলেন। কোহলি ছাড়াও এই সম্মানের লড়াইয়ে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জো রুট, স্টিভ স্মিথরা।
আরো পড়ুন: মাঠেই লেগে গেল পন্থ-ওয়েডের, ঋষভকে বিশ্রী অপমান অজি তারকার, রইল ভিডিও
গত দশকে কোহলি তিন ফরম্যাটেই রাজত্ব করেছেন। এই সময়পর্বে ২০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান তাঁর পকেটে। ২০ হাজার ৩৯৬ রান করেছেন ইনিংস পিছু ৫৬.৯৭ গড়ে। ন্যূনতম ৭০ টি ইনিংসে ব্যাট করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের তালিকায় তিনিই সেরা। এই সময়ে তিনি ৬৬টি শতরান করার সঙ্গেই ৯৪টি ফিফটিও করেছেন। এমন অবিশ্বাস্য ফর্মের পর আইসিসির পক্ষে কোহলি ছাড়া অন্য কাউকে বেছে নেওয়া সম্ভবও ছিল না।
সোমবার আইসিসি সরকারিভাবে শ্রেষ্ঠদের তালিকা প্রকাশ করে টুইটারে। সেরার সেরা হওয়ার পর কোহলি জানান, "আমার একমাত্র ইচ্ছা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা। এবং এই খিদে নিয়েই প্রতি ম্যাচে নামি। মাঠে আমরা যা করি পরিসংখ্যান তার অংশ হয়ে যায়।"
ধোনির 'আইসিসি স্পিরিট অফ ক্রিকেট' হওয়ার পিছনে ২০১১ সালের নটিংহ্যাম টেস্ট। অদ্ভুতভাবে রান আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছিলেন ইয়ান বেল। তবে তাঁকে ব্যাট করার জন্য ডেকে আনেন স্বয়ং ধোনি।
দশকসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হলেন আবার স্টিভ স্মিথ। এই সময় পর্বে স্মিথ ৭০৪০ রান করেছেন। গড় ৬৫.৭৯। গত দশকে স্মিথ ২৬টি শতরান এবং ২৮টি অর্ধশতরান করেন।
ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রাপকদের একটি আর্টওয়ার্ক দেওয়া হবে। আইসিসি, মুম্বইয়ের এক স্টুডিও কালচার এবং ভারতীয় শিল্পী প্রদীপ চালকের সম্মিলিত উদ্যোগে এই আর্টওয়ার্ক বানানো হয়েছে। রাচেল হেহো ফ্লিন্ট এবং স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্সের নামাঙ্কিত ট্রফি প্রাপকরা হাতের তৈরি আর্টওয়ার্কের একটি ব্যাট উপহার পাবেন। অন্যান্য বিভাগে জয়ীদের এই আর্টওয়ার্কেরই একটি ক্যানভাস দেওয়া হবে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন