বয়স ৩৪। তবে এখনও আরও বছর দশেক খেলতে পারেন কোহলি। কোহলিকে নিয়ে এমনটাই ধারণা শোয়েব আখতারের। আর তাতেই তিনি পেরিয়ে যেতে পারেন শচীনের একশোটা শতরানের অক্ষয় কীর্তিকে।
লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে অংশ নিতে গিয়ে দোহায় পাক স্পিডস্টার জানিয়েছেন, "বিরাট কোহলির কাছে অনুরোধ যেন ৪৩ বছর পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যায় ও। এখনও ৮-৯ বছর খেলা তোমার মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে। হুইলচেয়ারে হলেও ভারত তোমাকে খেলিয়ে যাবে। এবং তোমার একশটা একশোয় পৌঁছে দেবে। কোহলির অবসরের সময় আমার ধারণা ১১০টা সেঞ্চুরি করে ফেলবে।"
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত-পাক, বদলা নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হবে বাবররা! বিরাট ভবিষ্যৎবাণী শোয়েবের
তবে শোয়েবের ধারণা, তাঁদের সময়ে খেললে কোহলি কিছুতেই এত রান করতে পারতেন না। "আমি, ওয়াকার এবং আক্রম ভাই যদি নিজেদের সেরা ফর্মে থাকতাম, তাহলে কিন্তু বিরাটের সমস্যা হত। আমরা প্রচুর স্লেজিং করতাম। আর ও পাঞ্জাবি হওয়ায় প্রতিক্রিয়াও দিত। তারপরে আমরা ওঁকে রাগিয়েও দিতাম।"
"আমাদের সময়ে কোহলি খেললে এত গুলো শতরান কিছুতেই করতে পারত না। হয়ত ৩০-৫০ টার মধ্যে শতরান থাকত। তবে কিছুতেই এই সংখ্যাটা ৭০+ হত না। আমাদের ব্যক্তিগত ধারণা সুনীল গাভাসকার সর্বকালের সেরা বিশেষ করে উনি যখন আশির দশকের বোলারদের সামলেছেন। ওই সময়ের বোলারদের ফেস করা ভীষণ মুশকিল ছিল। গাভাসকার তাঁদের বিরুদ্ধেই ৩৪টি শতরান করেছেন। শচীনও গ্রেট। আমাদের সময়ে খেলেছে যে সময় বোলারদের ওপর কোনও বিধিনিষেধ ছিল না।"
আরও পড়ুন: মোদিকে ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন, আফ্রিদি মুখে এবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম
পাকিস্তান নিরাপদ দেশ। এমনটা জানিয়ে ভারতকে স্বচ্ছন্দে ভ্রমণ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি, "দুই দেশের সরকারের সম্পর্ক আর আগের মত নেই। দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না হলেও মানুষদের মধ্যে সম্প্রীতি রয়েছে। আমরা দেশের মাটিতে আটটা পিএসএল আয়োজন করেছি। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলেছি। এর পরেও আর কী দরকার? কেউ কীভাবে বলতে পারে যে আমাদের দেশ নিরাপদ নয়? আমি একজন আশাবাদী ব্যক্তি। আশা করি ভবিষ্যতে দুই দেশের সরকারই একই বিন্দুতে থাকবে। আর দু-তিন বছরের মধ্যেই মোদি সাহেব লাহোরে আসবেন।"
Read the full article in ENGLISH