শহিদ আফ্রিদি দিন কয়েক আগে বিরাট কোহলির ব্যাপারে একটা কথা বলেছিলেন। কোহলির নেট প্র্যাকটিস দেখে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক উপলব্ধি করেন যে, নেটেও ম্যাচের মতোই সিরিয়াসলি ব্যাটিংটা করেন কোহলি। আর তারই প্রতিফলন ফুটে ওঠে মাঠে। ‘প্র্যাকটিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট’! সেটা ভারত অধিনায়কের জন্য অক্ষরে অক্ষরে প্রযোজ্য়।
আগামিকাল অ্যাডিলেডে মিচেল স্টার্ক, জোশ হ্যাজেলউড ও ন্যাথাল লিঁয়র মতো বোলারদের ফেস করবেন বিরাট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে নামার আগে বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানকে পাওয়া গেল একেবারে রাজকীয় মেজাজে। নেটে কোনও বলই রেয়াত করলেন না তিনি। কখনও চালালেন তো কখনও স্টেপ আউট করে ওড়ালেন। বোঝাই যাচ্ছে যে, ইন্দো-অজি মহারণের জন্য রানমেশিন কতটা প্রস্তত!
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন থেকে আট কদম দূরে বিরাট
বাইশ গজে বিরাটের ব্যাট গর্জন করে। কিংয়ের শাসনে দিশেহারা বিপক্ষের বোলাররা। সাধারণত ব্যাটের মাঝখান দিয়ে মারা শটের আওয়াজটাই অন্যরকম হয়। ব্যাটের সুইট স্পট দিয়ে খেলাটাও একটা শিল্পের মতো। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় সেই শব্দের নাম, ‘সুইট সাউন্ড অফ দ্য উইলো’। নেট সেশনে কোহলির ব্যাটে তৈরি হল শব্দব্রহ্ম! যা কান পেতে শুনল সোশ্যাল মিডিয়া। ক্রিকেটডটকমডটএইউ কোহলির ব্যাটিং প্র্যাকটিসের ভিডিও টুইট করেছে। এমনকি তারাও সাউন্ড অন করেই এই ভিডিও দেখতে বলছে।
অ্যাডিলেডে বিরাটের আর প্রয়োজন আটটি রান। তাহলেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নয়া মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। শচীন তেন্ডুলকর (১৮০৯ রান) ভিভিএস লক্ষ্মণ (১২৩৬ রান) ও রাহুল দ্রাবিড়ের (১১৪৩)। পর চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে এক হাজার রান হয়ে যাবে তাঁর। ক্যাঙ্গারুর দেশে আটটি টেস্ট ম্যাচে ৬২.০০-এর গড়ে কোহলি করেছেন ৯৯২ রান। পাঁচটি টেস্ট শতরান ও দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে বিরাটের ঝুলিতে। এর মধ্যে মেলবোর্নে সর্বোচ্চ ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ২০১৪ সালে।