এক মাস আগেই দুর্ধর্ষ সেই ইনিংস বিশ্ব ক্রিকেটকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। টি২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বিরাট কোহলি একাই শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফারাক গড়ে দিয়েছিলেন। বিরাট কোহলি এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ৮২ রানের স্মৃতিতে ডুব দিলেন। জানিয়ে দিলেন, সেই ম্যাচের মত শক্তি আগে কখনও অনুভব করেননি। কোহলির ৫৩ বলে ৮২ রানের ইনিংসে ভারত পাকিস্তানকে শুইয়ে দেয়।
কোহলি এবার ভারত-পাক ম্যাচের সেই দুর্ধর্ষ ইনিংসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে টুইটারে বলে দেন, "২০২২-এর অক্টোবরে সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবে। আর কোনও ক্রিকেট ম্যাচে এরকম এনার্জি আগে কখনও অনুভব করিনি। যা আশীর্বাদধন্য সন্ধে ছিল সেটা!" এই টুইটের সঙ্গেই সেই ম্যাচের একটি ছবি জুড়ে দেন। যেখানে মহাতারকাকে দেখা যাচ্ছে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যাচ্ছে। সামনে প্রতীক্ষমান হাজার হাজার জনতা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে শোচনীয় ব্যর্থতা! ছাঁটাই হচ্ছেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের বিখ্যাত বিদেশি কোচ
এরকম আবেগী পোস্ট শেয়ার করার সঙ্গেই ক্রিকেট মহলে তুঙ্গে চর্চা শুরু হয়ে যায়, তাহলে কী অবসরের পথে হাঁটছেন কোহলি। সেই ইঙ্গিতই কি দিলেন? অনেকেই ধোনির অবসরের ঘটনা স্মৃতি হাতড়ে জানিয়ে দেন, কীভাবে একইভাবে সেই বিখ্যাত 'পল পল…' ইন্সটা-পোস্টের মাধ্যমে ধোনি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন।
যাইহোক, কোহলির স্বপ্নের সেই ম্যাচে পাকিস্তান প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৯ তুলেছিল। প্ৰথম চার ওভারেই ১৫/২ হয়ে যায় পাকিস্তান। ইফতিকার আহমেদ (৩৪ বলে ৫১) এবং শন মাসুদ (৪২ বলে ৫২) পাক ইনিংসকে উদ্ধার করে লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন স্কোরবোর্ডে। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান।
ভারতীয় বোলারদের হয়ে জাত চিনিয়ে দেন আর্শদীপ সিং। ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। ১৯ তম ওভারে ১৪ রান খরচ না করলে আরও ভালো বোলিং ফিগার নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারতেন তিনি। প্ৰথম বিশ্বকাপে খেলতে নেমে আর্শদীপ শুরুতেই বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দিয়ে ঝটকা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্ৰথম ভারতীয় হিসাবে BPL-এ! ইন্ডিয়ায় সুযোগ না পেয়ে বাংলাদেশেই গেলেন বিশ্বকাপজয়ী সুপারস্টার
আর্শদীপের সঙ্গেই বল হাতে কামাল দেখান হার্দিক পান্ডিয়া। চার ওভারের কোটায় ৩০ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন তিনি। মহম্মদ শামি ইফতিকার আহমেদকে ফেরান।
ভারত সেই রান চেজ করে শেষ বলে জয় সম্পন্ন করে। ভারতীয় ইনিংসের শুরুটা হয়েছিল হরর মুভির মত। তারপরে হার্দিক পান্ডিয়া (৪০) এবং কোহলি দলকে জিতিয়ে দেন ব্যাট হাতে। ভারত একসময় ৩১/৪ হয়ে গিয়েছিল। পঞ্চম উইকেটে কোহলি-হার্দিকের ১১৩ রানের জুটি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়।